বড়দিনে বন্ধ থাকছে ব্যান্ডেল চার্চ! ভিড় এড়াতে বড় সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের, ঘোরার আগে জেনে নিন খুঁটিনাটি!

শুভ বড়দিন। যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে সারা বিশ্বের পাশাপাশি সেজে উঠেছে আমাদের বাংলাও। বিশেষ করে হুগলি জেলার ঐতিহাসিক চার্চগুলোতে বুধবার রাত ১২টা থেকেই শুরু হয়েছে বিশেষ প্রার্থনা। ব্যান্ডেল চার্চ, চন্দননগর সেক্রেড হার্ট চার্চ এবং শ্রীরামপুরের সেন্ট ওলাভস চার্চে ধর্মপ্রাণ মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। চার্চের বাইরে তৈরি করা হয়েছে সুদৃশ্য গোশালা, যা যিশুর জন্মবৃত্তান্তকে তুলে ধরছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় চন্দননগর কমিশনারেট সিসিটিভি এবং পুলিশি টহলদারির মাধ্যমে কঠোর নজরদারি চালাচ্ছে।

হুগলির চার্চগুলোর মধ্যে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে ঐতিহাসিক ব্যান্ডেল চার্চ। ১৫৯৯ সালে নির্মিত এই গির্জার ইতিহাস হার মানাবে সিনেমার চিত্রনাট্যকেও। ১৬৩২ সালে মুঘল সম্রাট শাহজাহানের সৈন্যদের হাতে ধ্বংস হয়েছিল এই গির্জা। কথিত আছে, বন্দি ফাদারকে যখন মত্ত হাতির সামনে ফেলে দেওয়া হয়, তখন সেই হাতি ফাদারকে আক্রমণ না করে শুঁড় দিয়ে পিঠে তুলে নিয়েছিল। এই অলৌকিক ঘটনা দেখে মুগ্ধ হয়ে শাহজাহান গির্জা পুনর্নির্মাণের জন্য জমি ও অর্থ দান করেন। বর্তমানে এটি ‘ব্যাসিলিকা অফ দ্য হোলি রোসারি’ নামে পরিচিত। তবে অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে ২৫ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি দর্শনার্থীদের জন্য চার্চের মূল ফটক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ফাদার জন পি চালিল।

অন্যদিকে, ফরাসি স্থাপত্যের নির্দশন নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা চন্দননগরের সেক্রেড হার্ট চার্চ এবং ডেনিস আমলের তৈরি শ্রীরামপুরের সেন্ট ওলাভস চার্চও বড়দিনের আলোয় ঝলমল করছে। চন্দননগর চার্চের বেলজিয়াম কাচের কারুকাজ আর শ্রীরামপুর চার্চের সেই ঐতিহাসিক ঘড়ি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। যদিও ব্যান্ডেল চার্চ আজ বন্ধ, তবুও চার্চের বাইরের আলোকসজ্জা এবং উৎসবের আমেজ উপভোগ করতে হুগলি নদীর তীরে মানুষের ঢল নেমেছে।