টিকিটের চড়া দাম থেকে মুক্তি? লখনউ ও কোচি থেকে আসছে নতুন উড়ান, জানুন বিস্তারিত।

ইন্ডিগো কেলেঙ্কারির পর ভারতের বিমান চলাচল ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার অভাব নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। একটি মাত্র সংস্থার একচেটিয়া অধিকার বা ‘মনোপলি’ নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল খোদ কেন্দ্রও। সেই উদ্বেগ কাটাতে এবং আকাশপথের ভারসাম্য ফেরাতে বড় পদক্ষেপ নিল মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক (MoCA) ৩টি নতুন সংস্থাকে উড়ানের ছাড়পত্র বা NOC দিয়েছে। খুব শীঘ্রই ভারতের আকাশে পাখা মেলতে চলেছে— শঙ্খ এয়ার, আল হিন্দ এয়ার এবং ফ্লাই এক্সপ্রেস। এই তিনটি সংস্থার ব্যবসায়িক মডেল এবং লক্ষ্য সম্পূর্ণ আলাদা, যা দেশের উড়ান পরিষেবায় বড়সড় বদল আনবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শঙ্খ এয়ার: সাধারণ মানুষের ভরসা লখনউ-কে কেন্দ্র করে ডানা মেলছে শঙ্খ এয়ার। কানপুর-ভিত্তিক ব্যবসায়ী শ্রাবণ কুমার বিশ্বকর্মার এই সংস্থাটি মূলত মধ্যবিত্ত এবং ছোট শহরের যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে তৈরি। শঙ্খ এয়ারের বিশেষত্ব হলো, উৎসবের মরশুমে এরা আকাশছোঁয়া টিকিটের দাম বা ‘ডাইনামিক প্রাইসিং’ করবে না। লখনউ থেকে দিল্লি, মুম্বাই ও বেঙ্গালুরুকে যুক্ত করাই হবে এদের প্রাথমিক কাজ। ভবিষ্যতে জেওয়ার বিমানবন্দরকে হাব হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
আল হিন্দ এয়ার: দক্ষিণ ভারতের নতুন দিশা কেরালা-ভিত্তিক আল হিন্দ গ্রুপ এবার আকাশে ডানা মেলছে। আল হিন্দ এয়ার মূলত আঞ্চলিক সংযোগ বা রিজিওনাল কানেক্টিভিটির ওপর জোর দেবে। কোচি বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করে কেরালা ও দক্ষিণ ভারতের ছোট শহরগুলিকে যুক্ত করবে তারা। আল হিন্দ গ্রুপের গত ৩০ বছরের ভ্রমণ ও পর্যটন ব্যবসার অভিজ্ঞতা (হজ ও ওমরাহ আয়োজন) এই সংস্থাকে যাত্রীদের আস্থা অর্জনে সাহায্য করবে। ভবিষ্যতে উপসাগরীয় দেশগুলিতে আন্তর্জাতিক উড়ান শুরুর পরিকল্পনাও রয়েছে টি. মোহাম্মদ হ্যারিসদের।
ফ্লাই এক্সপ্রেস: কেবল পণ্য পরিবহনের কারিগর হায়দ্রাবাদ-ভিত্তিক এই সংস্থাটি সাধারণ যাত্রীদের জন্য নয়, বরং কার্গো বা পণ্য পরিবহনের জন্য নিবেদিত। ই-কমার্স, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং আন্তর্জাতিক পার্সেল ডেলিভারিতে বিপ্লব আনতে চায় ফ্লাই এক্সপ্রেস। হায়দ্রাবাদকে হাব করে এরা পণ্য পরিবহনের দুনিয়ায় ভারতের স্বনির্ভরতা বাড়াবে।