১০ লক্ষ টাকার শেয়ারে বিরাট স্বস্তি! সেবির এক সিদ্ধান্তে কেল্লাফতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের।

শেয়ার বাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য বড়সড় সুখবর নিয়ে এল বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি (SEBI)। ডুপ্লিকেট সিকিউরিটি বা হারানো শেয়ার সার্টিফিকেট ফিরে পাওয়ার প্রক্রিয়াকে এক ধাক্কায় অনেকটাই সহজ করে দেওয়া হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে সেবি ডুপ্লিকেট সিকিউরিটির জন্য সরলীকৃত ডকুমেন্টেশনের সীমা ৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ লক্ষ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কাদের জন্য এই সুবিধা? সেবির এই নতুন সিদ্ধান্তের ফলে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাজারমূল্যের শেয়ার বা সিকিউরিটিজ যারা হোল্ড করছেন, তাদের এখন থেকে অনেক কম নথি জমা দিতে হবে। আগে এই সীমা ছিল মাত্র ৫ লক্ষ টাকা। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিনিয়োগকারীরা, যারা এতদিন জটিল আইনি কাগজপত্রের চক্করে পড়ে হয়রান হতেন, তারা এই সিদ্ধান্তে সবথেকে বেশি উপকৃত হবেন।

কিভাবে কাজ করবে নতুন নিয়ম? নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, এখন থেকে একটি ‘স্ট্যান্ডার্ড অ্যাফিডেভিট-কাম-ইন্ডেমনিটি বন্ড’ ফরম্যাট চালু করা হয়েছে। আগে বিভিন্ন কোম্পানি বা রেজিস্ট্রারের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা নথির প্রয়োজন হতো, যা বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্তি বাড়াত। এখন ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হোল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের শুধুমাত্র উপযুক্ত নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প পেপারে এই বন্ডটি জমা দিলেই কাজ হয়ে যাবে।

ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য বাড়তি পাওনা: সেবি ছোট বিনিয়োগকারীদের কথা মাথায় রেখে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত সিকিউরিটির ক্ষেত্রে নোটারির প্রয়োজনীয়তা সম্পূর্ণ বাতিল করেছে। এই স্তরের বিনিয়োগকারীরা এখন সাধারণ কাগজেই একটি অঙ্গীকারপত্র জমা দিয়ে তাদের কাজ সারতে পারবেন। প্রবীণ নাগরিক এবং নতুন প্রজন্মের বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

যদি পরিমাণ ১০ লক্ষ টাকার বেশি হয়? ১০ লক্ষ টাকার ওপরের হোল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে অবশ্য নিয়ম কিছুটা কড়া থাকছে। সেক্ষেত্রে এফআইআর (FIR), পুলিশ কমপ্লেন বা আদালতের আদেশের কপি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। এছাড়া সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে সংবাদপত্রে একটি সাপ্তাহিক বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে হবে এবং এর জন্য তারা নির্দিষ্ট ফি নিতে পারবে।

সেবি জানিয়েছে, এই নতুন নিয়ম অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং বর্তমানে যে মামলাগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রেও এই সুবিধা প্রযোজ্য হবে। তবে যারা পুরনো নিয়মে নথি জমা দিয়ে ফেলেছেন, তাদের নতুন করে কিছু করতে হবে না।