‘ভোর ৪টেয় এল সেই দুঃসংবাদ!’ হামাস প্রধান হানিয়ের সঙ্গে শেষ মোলাকাত নিয়ে মুখ খুললেন নীতিন গড়কড়ি।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি সম্প্রতি একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ের সঙ্গে তাঁর শেষ সাক্ষাতের চাঞ্চল্যকর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে তেহরান গিয়েছিলেন গড়কড়ি। সেখানে হানিয়ের সঙ্গে তাঁর দেখা হওয়ার ঠিক কয়েক ঘণ্টা পরেই ঘটে যায় সেই রক্তক্ষয়ী হত্যাকাণ্ড।
শপথ গ্রহণ ও সেই রহস্যময় সাক্ষাৎ: গড়কড়ি জানান, তেহরানের একটি পাঁচতারা হোটেলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে হানিয়েকেও দেখা গিয়েছিল। যদিও তিনি কোনো নির্দিষ্ট দেশের প্রতিনিধি ছিলেন না, তবুও তাঁর উপস্থিতি নজর কেড়েছিল। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ইরানের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গেই প্রবেশ করেছিলেন হানিয়ে। গড়কড়ি বলেন, “বিভিন্ন দেশের নেতারা উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু যিনি কোনো রাষ্ট্রের প্রধান ছিলেন না, তিনি হলেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ে।”
ভোর ৪টেয় এল মৃত্যুর খবর: ঘটনার পরের দিন ভোরের অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “শপথ গ্রহণ শেষ করে আমি হোটেলে ফিরে আসি। কিন্তু ভোর ৪টে নাগাদ ইরানে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত আমাকে জাগিয়ে তোলেন এবং বলেন যে আমাদের এখনই বেরোতে হবে।” বিস্মিত গড়কড়ি কারণ জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত জানান যে, হামাস প্রধান হানিয়েকে হত্যা করা হয়েছে। এই খবর শুনে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন গড়কড়ি।
টার্গেট ইসমাইল হানিয়ে: ৬২ বছর বয়সী ইসমাইল হানিয়ে ৩১ জুলাই, ২০২৪-এ ইরানের তেহরানে একটি বিমান হামলায় প্রাণ হারান। ৭ অক্টোবরের ইজরায়েল হামলার পর থেকেই তিনি ইজরায়েলের প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিলেন। ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠান থেকে ফেরার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর বাসভবনে হামলা চালানো হয়। পলেস্তাইন ও ইজরায়েল যুদ্ধের ইতিহাসে এই হত্যাকাণ্ড একটি বড় মোড় হিসেবে দেখা হয়।