‘সভ্য সমাজের মুখে চপেটাঘাত!’ উন্নাও কাণ্ডে কুলদীপ সেঙ্গারের জামিনে অগ্নিশর্মা কংগ্রেস।

২০১৭ সালের নারকীয় উন্নাও গণধর্ষণ মামলার মূল অভিযুক্ত তথা প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গারের সাজা স্থগিত এবং জামিন দেওয়ার ঘটনায় উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। বুধবার দিল্লি হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনেত। তিনি সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন দেশের বিচারব্যবস্থা ও নারী সুরক্ষা নিয়ে।

সুপ্রিয়া শ্রীনেতের ক্ষোভ: সুপ্রিয়া শ্রীনেত ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “একজন ব্যক্তি যে হত্যা এবং গণধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল, যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছিল, সে মাত্র ছয় বছরে কীভাবে মুক্তি পায়? এটা কোন ধরনের বিচার? এই দেশে কি কন্যারা আদেও কোনোদিন ন্যায়বিচার পাবে?” তিনি আরও যোগ করেন যে, নির্যাতিতা এবং তাঁর মা যখন ইন্ডিয়া গেটে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছিলেন, তখন দিল্লি পুলিশ তাঁদের সঙ্গে চরম অমানবিক আচরণ করেছে। শ্রীনেতের মতে, এই ঘটনা সভ্য সমাজের মুখে এক বড় চপেটাঘাত। একজন নারী ও মা হিসেবে তিনি আদালতকে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানিয়েছেন।

পাল্টা চালে সিবিআই: অন্যদিকে, দিল্লি হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চুপ করে বসে নেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। সিবিআই ঘোষণা করেছে যে, তারা কুলদীপ সেঙ্গারের জামিনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে বিশেষ অনুমতি আবেদন (SLP) দাখিল করবে। সংস্থার একজন আধিকারিক নিশ্চিত করেছেন যে, হাইকোর্টের আদেশ খতিয়ে দেখার পর তাঁরা দ্রুত শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন।

হাইকোর্টের শর্তসাপেক্ষ জামিন: বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদ এবং বিচারপতি হরিষ বৈদ্যনাথন শঙ্করের ডিভিশন বেঞ্চ সেঙ্গারের সাজা স্থগিত করে তাঁকে ১৫ লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন দিয়েছে। সিবিআই এবং নির্যাতিতার পরিবার প্রথম থেকেই এই জামিন আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করে লিখিত যুক্তি পেশ করেছিল। তা সত্ত্বেও আদালতের এই সিদ্ধান্ত নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।