AI-জায়ান্টগুলোর বিরুদ্ধে মামলায় নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক,জেনেনিন কেন?

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই (AI) প্রশিক্ষণের জন্য অবৈধভাবে তথ্য ব্যবহারের অভিযোগে এবার বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে রণক্ষেতে নেমেছেন নিউ ইয়র্ক টাইমসের বিশিষ্ট অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও লেখক জন ক্যারেরু। গুগল, মেটা, ওপেনএআই এবং পারপ্লেক্সিটির পাশাপাশি এবারই প্রথম এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে ইলন মাস্কের এআই স্টার্টআপ ‘এক্সএআই’ (xAI)।
সোমবার ক্যালিফোর্নিয়ার ফেডারেল আদালতে দায়ের করা এই মামলায় ক্যারেরুর অভিযোগ—তার অনুমতি ছাড়াই তার কপিরাইটযুক্ত বইগুলো ব্যবহার করে এসব কোম্পানি তাদের লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল (LLM) প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ক্যারেরু সেই সাংবাদিক, যিনি সিলিকন ভ্যালির বহুল আলোচিত ‘থেরানোস’ জালিয়াতি ফাঁস করে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পেয়েছিলেন এবং তার বিখ্যাত বই ‘ব্যাড ব্লাড’ (Bad Blood) এই মামলার অন্যতম ভিত্তি।
লেখকদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ: ক্যারেরুর সাথে আরও পাঁচজন বিশিষ্ট লেখক এই মামলায় যোগ দিয়েছেন। তাদের মূল অভিযোগ হলো, প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো ইন্টারনেটে থাকা পাইরেটেড বা অবৈধ সাইট থেকে তাদের বই সংগ্রহ করেছে এবং কোনো রয়্যালটি বা অনুমতি ছাড়াই সেগুলো এআই চ্যাটবটকে শেখানোর কাজে লাগিয়েছে। এর আগে অ্যানথ্রপিক-এর মতো কোম্পানি দেড়শ কোটি ডলারের বিনিময়ে লেখকদের সাথে সমঝোতা করলেও, এবারের মামলার ধরণ একটু আলাদা।
ক্লাস অ্যাকশন মামলার পথে নয় কেন? সাধারণত অনেক বাদী মিলে একটি বড় ‘ক্লাস অ্যাকশন’ মামলা করেন, কিন্তু ক্যারেরুর আইনজীবীরা তা করতে নারাজ। তাদের মতে, বড় যৌথ মামলায় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো সুবিধা পায়, কারণ তারা হাজার হাজার লেখকের দাবিকে একটি সস্তা চুক্তিতে মীমাংসা করার সুযোগ পায়। আইনজীবীদের দাবি, প্রতিটি কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য দেড় লাখ ডলার পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা থাকলেও আগের বড় সমঝোতাগুলোতে লেখকরা তার মাত্র ২ শতাংশ পেয়েছেন।
কাইল রোচের ল’ ফার্মের মাধ্যমে দায়ের করা এই মামলাটি এআই বনাম কপিরাইট যুদ্ধে একটি মাইলফলক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, আইনি লড়াইয়ে মাস্ক বা গুগলের মতো জায়ান্টরা কীভাবে নিজেদের অবস্থান রক্ষা করে।