ভুয়ো জন্ম শংসাপত্রে থাবা বসাচ্ছে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ! ফড়নবিশ সরকারের নির্দেশে আসরে নামল সিট (SIT)!

মহারাষ্ট্রের ইয়াভাতমাল জেলার সেন্দুরসানি গ্রামকে কেন্দ্র করে এক হাড়হিম করা জালিয়াতি প্রকাশ্যে এসেছে, যা ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বড়সড় প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। সেন্দুরসানি গ্রামের মোট জনসংখ্যা মাত্র ১,৩৯৪ জন, অথচ মাত্র তিন মাসে (সেপ্টেম্বর-নভেম্বর ২০২৫) সেখানে ২৭,৩৯৭টি নতুন জন্ম শংসাপত্র জারি করা হয়েছে! এই অভাবনীয় কেলেঙ্কারির তদন্তে এবার বিশেষ তদন্তকারী দল বা ‘সিট’ (SIT) গঠন করল মহারাষ্ট্রের ফড়নবিশ সরকার।
অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিচালক (সাইবার) যশস্বী যাদবের নেতৃত্বে এই উচ্চপর্যায়ের দল ১০০ দিনের মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দেবে। এই তদন্তকারী দলে থাকছেন মহারাষ্ট্রের জন্ম-মৃত্যু বিভাগের যুগ্ম নিবন্ধক ডাঃ ববিতা কমলাপুরকর এবং ইয়াভাতমালের জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুভাষ ঢোল। প্রশাসনের আশঙ্কা, এটি কেবল কোনো করণিক ভুল নয়, বরং একটি অত্যন্ত উন্নত সাইবার-সক্ষম র্যাকেট।
বিজেপি নেতা কিরীট সোমাইয়া এই কেলেঙ্কারিটি প্রথম প্রকাশ্যে আনেন। তাঁর দাবি, এটি ভারতের বৃহত্তম জন্ম শংসাপত্র জালিয়াতি যার শিকড় আন্তর্জাতিক স্তরে বিস্তৃত হতে পারে। সোমাইয়ার অভিযোগ অনুযায়ী, এই জালিয়াতির সুবিধাপ্রাপকদের বেশিরভাগই মহারাষ্ট্রের নন। প্রাথমিক তদন্তে পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর ভারত এমনকি বাংলাদেশের নামও উঠে এসেছে। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, ২৭,৩৯৭টি নিবন্ধনের বেশিরভাগই ১৮ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের নামে করা হয়েছে, যা সরাসরি আইন লঙ্ঘন।
তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন কীভাবে গ্রাম পঞ্চায়েতের কম্পিউটার টার্মিনাল, ওটিপি (OTP) এবং ইমেল শংসাপত্র অপব্যবহার করে এই বিপুল পরিমাণ নথি তৈরি করা হলো। এটি কোনো সংগঠিত অপরাধ, বেআইনি নাগরিকত্ব প্রদান বা পরিচয়পত্র জালিয়াতির উদ্দেশ্যে করা হয়েছে কি না, তা এখন সিট-এর তদন্তে উঠে আসবে।