নির্বাচনের আগেই উত্তাল বাংলাদেশ! ‘পিকচার আভি বাকি হ্যায়’, সরাসরি ভারতকে হুঁশিয়ারি হাসনাত আবদুল্লার!

হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই নতুন করে বারুদের গন্ধ। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই অগ্নিগর্ভ ওপার বাংলা। এই আবহে ফেনিতে আয়োজিত এক শোক সভায় যোগ দিয়ে ভারতের নাম টেনে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বাংলাদেশের এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লা। তাঁর মন্তব্যে একদিকে যেমন রয়েছে ভারতের প্রতি হুঁশিয়ারি, তেমনই রয়েছে প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি চরম চরম বার্তা।
এদিনের সভায় হাসনাত আবদুল্লা সরাসরি অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের নির্বাচনকে বানচাল করতে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে বসে ষড়যন্ত্রের জাল বোনা হচ্ছে। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষিত আগামীর নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ভারতে বসে চক্রান্তের জাল বিস্তার করা হচ্ছে।” উল্লেখ্য, এর আগেও ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ নিয়ে হাসনাতের বিতর্কিত মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। ফের একবার তাঁর মুখে ভারত প্রসঙ্গ আসায় কূটনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে পুলিশের স্থবিরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাসনাত হুঁশিয়ারি দেন, “১৩ বছর চাঁদাবাজ-দুর্নীতিবাজরা শুধু ট্রেলার দেখিয়েছে, পিকচার আভি বাকি হ্যায়। সেই আসল ছবি দেখবেন নির্বাচনের পর।” তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ছাত্র-জনতা ব্যালট বিপ্লব চেয়েছিল, কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দল এখন ‘বুলেট বিপ্লবের’ প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রশাসন ও পুলিশকে সতর্ক করে তিনি বলেন, বিগত তিনটি নির্বাচনে পুলিশ রেফারির বদলে খেলোয়াড়ের ভূমিকা নিয়েছিল, যার খেসারত জাতিকে দিতে হয়েছে। এবার যেন তারা কোনো বিশেষ দলের ‘পা চাটা’ গোলাম না হয়ে আম্পায়ারের ভূমিকায় থাকে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনের আগে হাসনাতের এই ‘পিকচার আভি বাকি হ্যায়’ মন্তব্যটি অত্যন্ত ইঙ্গিতবহ। একদিকে বিদেশের মাটিতে বসে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব, অন্যদিকে দেশের ভেতরে বুলেট বিপ্লবের হুঁশিয়ারি—সব মিলিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কোন দিকে মোড় নেয়, এখন সেটাই দেখার।