৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত! ওবিসি শংসাপত্র বিতর্ক নিয়ে কমিশনের কাছে রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট!

ভোটার তালিকায় নাম সংশোধন ও এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া চলাকালীন রাজ্যে ওবিসি (OBC) শংসাপত্র নিয়ে নতুন করে আইনি জটিলতা তৈরি হল। ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বাতিল হওয়া ওবিসি শংসাপত্রগুলি ভোটার তালিকায় নথি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে কি না, তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে আগামী সাত দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

বুধবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি কৃষ্ণা রাও নির্দেশ দেন যে, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কমিশনকে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে এবং মামলাকারীকে সেই সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। মামলাকারীর দাবি ছিল, কলকাতা হাইকোর্টের পূর্ববর্তী রায় অনুযায়ী ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে রাজ্যে দেওয়া সমস্ত ওবিসি শংসাপত্র যেহেতু বাতিল হয়েছে, তাই ভোটার তালিকায় নথি যাচাইয়ের ক্ষেত্রে এগুলিকে কোনোভাবেই গ্রাহ্য করা যাবে না।

প্রসঙ্গ উল্লেখ্য, গত ১৬ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর প্রক্রিয়ার খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে ভোটার তালিকায় নাম সংশোধন ও আপত্তি নিয়ে শুনানি প্রক্রিয়া চলছে, যেখানে প্রমাণ হিসেবে ১৩টি নথির মধ্যে জাতিগত শংসাপত্র অন্যতম। এর আগে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ ১৯৯৩ সালের আইন না মানার কারণ দেখিয়ে ওই ১৪ বছরের সমস্ত ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করে দিয়েছিলেন। যদিও রাজ্য এই নির্দেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করে এবং শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল।

বর্তমানে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন থাকলেও, ভোটার তালিকায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে মামলাকারী আইনজীবীর আবেদনের ভিত্তিতে কমিশনকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বলল হাইকোর্ট। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জানা গেলে স্পষ্ট হবে যে, আসন্ন নির্বাচনের আগে রাজ্যের কয়েক লক্ষ ওবিসি শংসাপত্রধারী ভোটার তালিকায় নথি হিসেবে সেই সার্টিফিকেট ব্যবহার করতে পারবেন কি না। এই নির্দেশ ঘিরে রাজ্য রাজনীতি ও প্রশাসনিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।