ভোটার তালিকায় বড় ধামাকা! নতুন বছরের আগেই কমিশনের কড়া নির্দেশে কাঁপছে জেলা প্রশাসন!

নতুন বছরের শুরুতেই রাজ্যে রাজ্যে ভোটার তালিকায় বড়সড় রদবদল হতে চলেছে। ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা ‘স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন’ (SIR)-এর দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে এবার অত্যন্ত আক্রমণাত্মক মেজাজে ভারতের নির্বাচন কমিশন। আসন্ন নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং কোনো প্রকার কারচুপি রুখতে রাজ্যগুলির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের (CEO) একগুচ্ছ কঠোর নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কমিশন।
২৪ ডিসেম্বরের জারি করা এই বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ভোটার তালিকায় নাম সংশোধন বা যাচাইয়ের জন্য নোটিস পাওয়ার পর ভোটাররা যে নথি জমা দেবেন, তার সত্যতা যাচাইয়ে কোনো রকম ঢিলেমি বরদাস্ত করা হবে না। জেলা প্রশাসনকে প্রতিটি নথি অতি দ্রুততার সঙ্গে যাচাই করতে হবে। বিশেষ করে, যোগ্যতার প্রমাণ হিসেবে জমা দেওয়া নথিপত্র এবং আগের পর্বের ডেটা-ম্যাপিং সরাসরি ‘বিএলও’ (BLO) অ্যাপে আপলোড করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
কমিশনের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ভোটারদের জমা দেওয়া নথিপত্র জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠাতে হবে এবং মাত্র ৫ দিনের মধ্যে (Verification within 5 days) সেই নথির সত্যতা যাচাই করে রিপোর্ট কমিশনের পোর্টালে (ECInet) আপলোড করতে হবে। যদি কোনো নথি রাজ্যের অন্য জেলা থেকে ইস্যু করা হয়ে থাকে, তবে তা অনলাইনের মাধ্যমেই সংশ্লিষ্ট জেলায় পাঠিয়ে দ্রুত যাচাই করে নিতে হবে। এমনকি নথি যদি অন্য কোনো রাজ্যের হয়, তবে সরাসরি সেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত রিপোর্ট নিশ্চিত করতে হবে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, ভোটার তালিকায় নাম বাদ দেওয়া বা ভুয়ো ভোটার নিয়ে বিভিন্ন মহলে যে অভিযোগ উঠেছিল, তাকে সমূলে বিনাশ করতেই কমিশনের এই পদক্ষেপ। স্বচ্ছতা এবং দ্রুত নিষ্পত্তিই এখন কমিশনের মূল লক্ষ্য। জেলা নির্বাচনী আধিকারিক (DEO), নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিক (ERO) এবং রোল অবজার্ভারদের ওপর এই নিয়ম কঠোরভাবে বলবৎ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, নতুন বছরে ভোটার তালিকায় নাম থাকা বা সংশোধনের ক্ষেত্রে নথির নির্ভুলতা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।