“রাহুল ভাইয়া পাশে আছেন!” ১০ জনপথে কান্নায় ভেঙে পড়লেন উন্নাও নির্যাতিতা, চাইলেন নিরাপত্তা

উন্নাও গণধর্ষণ মামলার সাজাপ্রাপ্ত কুলদীপ সিং সেঙ্গারের জামিন মঞ্জুরের পর থেকেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার। বুধবার নয়াদিল্লিতে সোনিয়া গান্ধীর বাসভবন ১০ জনপথে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করলেন তাঁরা। প্রায় ঘণ্টাখানেকের এই বৈঠকে নিজের যন্ত্রণার কথা তুলে ধরে সাহায্যের আবেদন জানান ওই তরুণী। বৈঠকে রাহুলের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সোনিয়া গান্ধীও।

রাহুলের কাছে তিনটি বিশেষ অনুরোধ সূত্র মারফত জানা গেছে, নির্যাতিতা এবং তাঁর পরিবার রাহুল গান্ধীর কাছে তিনটি প্রধান দাবি জানিয়েছেন: ১. সুপ্রিম কোর্টে কুলদীপ সেঙ্গারের জামিন বাতিলের লড়াই চালানোর জন্য একজন দক্ষ ও নির্ভরযোগ্য আইনজীবী। ২. উত্তরপ্রদেশে প্রাণের ঝুঁকি থাকায় পরিবারটিকে কোনও কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে স্থানান্তরিত করা। ৩. জীবনধারণের জন্য নির্যাতিতার স্বামীর একটি স্থায়ী কর্মসংস্থান।

রাহুল গান্ধী তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেন, “ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে যা যা করা সম্ভব, আমি সব করব।” তিনি দ্রুত আইনজীবী নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্বও নিয়েছেন।

মোদীর দেখা পাননি, ডাকলেন রাহুল বৈঠক শেষে নির্যাতিতা সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছিলেন, কিন্তু কোনও উত্তর পাননি। উল্টে রাহুল গান্ধী নিজে ফোন করে তাঁদের দেখা করার আমন্ত্রণ জানান। নির্যাতিতার কথায়, “রাহুল ভাইয়া আমাদের পাশে থাকার কথা দিয়েছেন। আমরা শুধু বিচার চাই।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় গর্জে উঠলেন রাহুল এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে রাহুল গান্ধী বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন। ইন্ডিয়া গেট থেকে নির্যাতিতাকে পুলিশি হেনস্থা করে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় প্রশ্ন তুলে তিনি লেখেন, “এটা কেমন বিচার? ধর্ষকরা জামিন পাচ্ছে আর নির্যাতিতার সঙ্গে অপরাধীর মতো আচরণ করা হচ্ছে! আমরা কি কেবল একটি মৃত অর্থনীতি নই, একটি মৃত সমাজেও পরিণত হচ্ছি?” তিনি স্পষ্ট জানান, গণতন্ত্রে প্রতিবাদের কণ্ঠরোধ করা একটি অপরাধ।