“গ্রিনল্যান্ড আমাদের চাই-ই!” ডেনমার্ককে সরাসরি হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের, বিশেষ দূত নিয়োগ ঘিরে ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বার শপথ নেওয়ার পরেই নিজের পুরনো ‘জিদ’ পূরণ করতে আসরে নামলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর্কটিক অঞ্চলের কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গ্রিনল্যান্ড দ্বীপটি কেনার দাবি আবারও নতুন করে উসকে দিলেন তিনি। শুধু মুখে বলা নয়, গ্রিনল্যান্ড বিষয়ক আলোচনার জন্য লুইজিয়ানার গভর্নর জেফ ল্যান্ড্রিকে ‘বিশেষ দূত’ হিসেবে নিয়োগ করে ডেনমার্ককে কার্যত যুদ্ধের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন ট্রাম্প।
সোমবার পাম বিচে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প বলেন, “গ্রিনল্যান্ডের উপকূলে তাকালেই এখন রাশিয়া আর চিনের জাহাজ দেখা যায়। আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই এই দ্বীপটি আমাদের অধীনে থাকা দরকার। এটা খনিজ সম্পদের বিষয় নয়, এটা দেশের অস্তিত্বের প্রশ্ন।” ট্রাম্পের এই আগ্রাসী মনোভাবে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ইউরোপীয় রাজনীতিতে। ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন এবং গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী এক যৌথ বিবৃতিতে স্পষ্ট জানিয়েছেন, “গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে সার্বভৌমত্বে আঘাত করা যাবে না।”
উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে আমেরিকার একটি অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত। ডেনমার্ককে চাপে ফেলতে মার্কিন উপকূলে ডেনিশ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘ওরস্টেড’-এর বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পের লিজ স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রিনল্যান্ডের অবস্থান আমেরিকার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য তুরুপের তাস। কিন্তু ৫৭ হাজার বাসিন্দার এই স্বশাসিত দ্বীপের মানুষ আমেরিকার অংশ হওয়ার প্রবল বিরোধী। ইউরোপীয় ইউনিয়নও ডেনমার্কের পাশে দাঁড়িয়ে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের কড়া নিন্দা করেছে।