‘১ লক্ষ মতুয়া বাদ গেলে ক্ষতি কী?’ শান্তনুর মন্তব্যে রণক্ষেত্র ঠাকুরনগর, মমতাবালার নেতৃত্বে বিশাল বিক্ষোভ

ভোটের মুখে তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগর। কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের এক বিতর্কিত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বুধবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল মতুয়াবাড়ি। ‘এসআইআর’ (SIR) এবং নাগরিকত্ব ইস্যুতে যখন মতুয়ারা উদ্বেগে, তখন শান্তনু ঠাকুরের একটি মন্তব্য আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে। শান্তনু বলেছিলেন, “৫০ লক্ষ রোহিঙ্গা এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে তাড়াতে গিয়ে যদি আমাদের ১ লক্ষ মতুয়াকে ভোটদান থেকে বিরত থাকতে হয়, তবে তাতে ক্ষতি কী?” এই মন্তব্যের প্রতিবাদেই আজ ঠাকুরবাড়িতে তাঁর বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দেন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর।

মমতাবালার অনুগামীরা মিছিল করে শান্তনু ঠাকুরের বাড়ির দিকে এগোতেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। অভিযোগ, শান্তনু ঠাকুরের অনুগামীরা বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হন এবং তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘটনার সময় শান্তনু ঠাকুর বাড়িতে ছিলেন না। তবে দু’পক্ষের ধস্তাধস্তিতে বেশ কয়েকজন মতুয়া ভক্ত জখম হয়েছেন বলে খবর। এই ঘটনায় এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, বিজেপি সিএএ-র নামে মতুয়াদের ভুল বুঝিয়ে এখন তাঁদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।

অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোশ্যাল মিডিয়ায় আশ্বাস দিয়েছেন যে বিজেপি সর্বদা মতুয়া ও নমঃশূদ্রদের পাশে থাকবে। কিন্তু খসড়া ভোটার তালিকায় বিপুল সংখ্যক মতুয়ার নাম বাদ পড়ায় আতঙ্ক গ্রাস করেছে গোটা জনপদকে। শান্তনু ঠাকুরের ‘১ লক্ষ মতুয়া বাদ যাওয়া’র যুক্তিকে ঘিরে এখন তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। মতুয়াদের একাংশের প্রশ্ন, যাঁদের নাগরিকত্বের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নেওয়া হয়েছিল, আজ তাঁদেরই ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে কেন?