বউদের হাতে থাকবে না অ্যান্ড্রয়েড, তরুণীদের জন্য নিষিদ্ধ ক্যামেরা ফোন! তুঘলকি নিয়মে শোরগোল

একবিংশ শতাব্দীতে যখন ভারত সরকার ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ এবং ‘২০৪৭-এর বিকশিত ভারত’-এর স্বপ্ন দেখছে, ঠিক তখনই রাজস্থানের জালোর জেলা থেকে উঠে এল এক বিতর্কিত মধ্যযুগীয় ফরমান। প্রজাতন্ত্র দিবস থেকেই ওই জেলার ১৫টি গ্রামে তরুণী ও বিবাহিত মহিলাদের জন্য ক্যামেরা ও ইন্টারনেটযুক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

গাজীপুর গ্রামে চৌধরি সম্প্রদায়ের এক সভায় সুজনরাম চৌধরী এই বিতর্কিত নির্দেশ দেন। ফতোয়া অনুযায়ী, বাড়ির মেয়ে ও বউরা শুধুমাত্র কি-প্যাড যুক্ত সাধারণ ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান বা পাড়া-প্রতিবেশীর বাড়িতেও স্মার্টফোন নিয়ে যাওয়া যাবে না। ছাত্রীদের ক্ষেত্রে পড়াশোনার জন্য বাড়িতে ফোন ব্যবহারের অনুমতি থাকলেও, ঘরের বাইরে স্মার্টফোন নিয়ে বেরোনো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

এই অদ্ভুত নিয়মের স্বপক্ষে যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে, মহিলারা শিশুদের হাতে মোবাইল তুলে দেওয়ায় তাদের চোখের ক্ষতি হচ্ছে। তবে প্রশ্ন উঠছে, ডিজিটাল যুগে কেন শুধুমাত্র মহিলাদের উপরই এই বিধিনিষেধ চাপানো হল? জরুরি প্রয়োজনে ইন্টারনেট পরিষেবা থেকে কেন তাঁদের বঞ্চিত রাখা হচ্ছে? এই একতরফা সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ইতিমধেই দেশজুড়ে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।