চিনা দাদাগিরির শিকার তিব্বতি আইনজীবী! ‘মিথ্যে’ মামলায় সাজা ঘোষণা করল বেজিংয়ের আদালত

তিব্বতি মানবাধিকার আইনজীবী সেরিং সো-কে এক বছরের কারাদণ্ড দিল চিনা আদালত। পূর্ব তিব্বতের সোলহো তিব্বতি স্বায়ত্তশাসিত প্রিফেকচারের একটি আদালত গত ৯ ডিসেম্বর এই সাজা ঘোষণা করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে “ঝগড়া করা এবং ঝামেলা উস্কে দেওয়া”-র অভিযোগ আনা হয়েছে, যা চিনা প্রশাসন সাধারণত ভিন্নমত দমনের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। তবে সাজা দিলেও আদালত তা দুই বছরের জন্য স্থগিত রেখেছে, যার অর্থ সেরিং বর্তমানে কড়া নজরদারি ও প্রবেশনে থাকবেন।

তিব্বত টাইমস ও ফায়ুল-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও সেরিং সো-র চলাফেরার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এমনকি চিকিৎসার জন্য শহর ছাড়তে হলেও তাঁকে আগাম অনুমতি নিতে হবে। সেরিং সো তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং এই রায়কে “অন্যায়” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি ইন্টারমিডিয়েট পিপলস কোর্টে আপিল জমা দিলেও বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব এবং প্রশাসনিক বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।

সেরিং সো অভিযোগ করেছেন যে, নিম্ন আদালত তাঁকে বেআইনিভাবে দোষ স্বীকার করার জন্য চাপ দিয়েছিল। তিনি দাবি করেছেন, “এই রায় সংবিধানের অবমাননা। আমি জনসমক্ষে এই মামলার শুনানি চাই।” ২০১৫ সাল থেকে তিব্বতিদের ওপর চিনা শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব সেরিং। এর আগেও ২০২৩ সালে তল্লাশির নামে হেনস্থার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করায় তাঁকে আটক করা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলি এই সাজাকে তিব্বতে কণ্ঠরোধের আরও একটি ন্যাক্কারজনক উদাহরণ হিসেবে দেখছে।