কুলটির নিষিদ্ধপল্লিতে হাজার হাজার ‘ভুতুড়ে’ ভোটার! সরকারি তালিকায় ভয়ংকর গরমিল আসানসোলে

ভোটার তালিকা সংশোধন এবং এন্যুমারেশন প্রক্রিয়া শুরু হতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল আসানসোলের কুলটি বিধানসভা এলাকায়। কুলটির নিষিদ্ধপল্লি সংলগ্ন চারটি বুথে প্রায় ৪০ শতাংশ ভোটারের তথ্যে ব্যাপক গরমিল ধরা পড়েছে। খসড়া তালিকা অনুযায়ী, কয়েক হাজার ভোটারের আর কোনো হদিশ পাচ্ছেন না বিএলও-রা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এখন তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।

তথ্য অনুযায়ী, কুলটির চবকা ও লছিপুরের ১১৩, ১১৪, ১১৫ ও ১১৬ নম্বর বুথে মোট ভোটার ছিলেন ৩,৬২৭ জন। কিন্তু সাম্প্রতিক খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, ৭৪২ জনের নাম সরাসরি বাদ পড়েছে। এর মধ্যে ১৩৯ জন মৃত এবং ৬৯ জন অন্যত্র চলে গিয়েছেন। সবথেকে রহস্যজনক বিষয় হলো, ৫৩৪ জন ভোটারের কোনো ঠিকানাই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়াও ৬৮৪ জন ভোটারের তথ্যের সঙ্গে পুরোনো নথির কোনো মিল নেই।

এই ‘নিখোঁজ’ ভোটারদের ঘিরেই আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। জেলা বিজেপি নেতা কেশব পোদ্দারের দাবি, “এগুলো আসলে ভুতুড়ে ভোটার। তৃণমূল ভোট জেতার জন্য ভুয়ো ভোটার এবং অবৈধ বাংলাদেশিদের কার্ড বানিয়ে দিয়েছিল। এখন SIR-এর ভয়ে তারা পালিয়েছে।” পাল্টা জবাবে তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি পূর্ণেন্দু রায় জানিয়েছেন, পরিচয় গোপন রাখার জন্য অনেকে ফর্ম জমা দেননি। তবে তিনি দায় ঠেলেছেন বিএলও-দের ওপর। তাঁর দাবি, কর্মীরা বাড়ি বাড়ি না যাওয়ার ফলেই এই বিভ্রান্তি। যদিও বিএলও-দের পাল্টা দাবি, ভাড়া বাড়িতে থাকা ওই ভোটারদের বর্তমান ঠিকানায় গিয়েও কাউকেই পাওয়া যাচ্ছে না।