মাছ চাষে বাম্পার ফলন পেতে চান? নতুন মরশুমের আগে এই কাজটি না করলে হবে চরম লস!

শীতের মরশুম শেষ হতেই উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে শুরু হয়েছে মৎস্য চাষের ব্যাপক প্রস্তুতি। তবে শুধু মাছ ছাড়লেই হবে না, কাঙ্ক্ষিত লাভের মুখ দেখতে গেলে মানতে হবে নির্দিষ্ট কিছু বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। অভিজ্ঞ চাষিদের মতে, মাছ চাষে সাফল্যের আসল চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে মাটি ও জলকর প্রস্তুতির মধ্যে।
দীর্ঘদিন ধরেই বসিরহাট মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় ভেটকি, ভাঙন, রুই, কাতলা এবং বাগদা চিংড়ির চাষ হয়ে আসছে। বহু পরিবারের রুটিরুজি জড়িয়ে এই শিল্পের সঙ্গে। অভিজ্ঞ মৎস্যচাষি আনারুল ইসলাম মন্ডল জানান, শীত শেষে জল শুকিয়ে মাছ ধরে নেওয়ার পর জমি ফেলে রাখা উচিত নয়। মাটির তলায় জমে থাকা কাদা ও আবর্জনা দ্রুত পরিষ্কার করা জরুরি। জল শুকিয়ে জমিকে কড়া রোদে শুকোতে দিতে হবে, যাতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও রোগজীবাণু সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়।
মাটি শুকোনোর পর পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো চুন প্রয়োগ। এটি মাটির অম্লতা নিয়ন্ত্রণ করে এবং জলকে পরিশ্রুত রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে বাগদা চিংড়ির ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত সংবেদনশীল। চুন প্রয়োগের পর নতুন জল ঢুকিয়ে তার গুণমান পরীক্ষা করা আবশ্যিক। বর্তমানে অনেক চাষি জৈব সার ব্যবহার করে প্রাকৃতিক উপায়ে জল প্রস্তুত করছেন। সঠিক পরিকল্পনা ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করলে বসিরহাটের মাছ চাষিরা এবারও রেকর্ড উৎপাদনের আশা করছেন।