নাম বদলে এখন ‘মোমো গ্রাম’! টিটাগড়ের এই পাড়ায় প্রতি ঘরেই তৈরি হচ্ছে হাজার হাজার মোমো

সরকারি নথিতে নাম পাতুলিয়া গভর্নমেন্ট কোয়ার্টার গেট এলাকা হলেও, ব্যারাকপুর মহকুমার এই অঞ্চলটি এখন রাজ্যজুড়ে পরিচিত ‘মোমো পাড়া’ বা ‘মোমো গ্রাম’ হিসেবে। টিটাগড় স্টেশনে নেমে যে কাউকেই এই নামে জিজ্ঞাসা করলে দেখিয়ে দেবেন পথ। গত ২৫-৩০ বছর ধরে এখানে মোমো তৈরি হলেও, গত ৫-৬ বছরে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এই এলাকা এখন মধ্যবিত্তের মোমো-স্বর্গের তকমা পেয়েছে।
পাড়ার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে ছোট-বড় মোমো তৈরির কারখানা। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত চলে কর্মযজ্ঞ। এলাকার কয়েকশো মহিলা এই কাজ করেই স্বনির্ভর হয়েছেন। দিনে অন্তত ৩০০ টাকা উপার্জন করছেন তাঁরা। কারখানা থেকে উপকরণ সরবরাহ করার পর বাড়িতে বাড়িতে চলে মোমোর পুর ভরা ও ভাপ দেওয়ার কাজ। পনির, চিকেন, কর্ন, গন্ধরাজ থেকে চিজ মোমো—কী নেই এখানে! পাইকারি দরে মাত্র ১৫ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে মিলছে ৬ পিস মোমো।
দুপুর ২টোর পর থেকে শুরু হয় মোমো সরবরাহের কাজ। স্থানীয়দের দাবি, শুধুমাত্র টিটাগড় নয়, এখান থেকেই মোমো পৌঁছে যাচ্ছে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। বর্তমানে ৩৬৫ দিনই এই ‘মোমো গ্রাম’ এখন ব্যস্ত থাকে জিভে জল আনা বাহারি মোমো তৈরি আর প্যাকেটজাত করার কাজে। সস্তায় ভালো মানের খাবার আর মহিলাদের আত্মনির্ভরতার এই ছবি এখন নজর কেড়েছে গোটা বাংলার।