হিন্দু বলেই বাদ দিলেন হুমায়ুন চাচা’, বালিগঞ্জে প্রার্থীপদ হারিয়ে এবার ধর্মীয় বৈষম্যের বিস্ফোরক অভিযোগ নিশার!

বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থীপদ হারানো নিয়ে এবার সরাসরি সাম্প্রদায়িকতা ও বৈষম্যের অভিযোগ তুললেন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার নিশা চট্টোপাধ্যায়। জনতা উন্নয়ন পার্টির চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর তাঁকে প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পর নিশা বিস্ফোরক দাবি করে বলেন, “আমি হিন্দু বলেই আমাকে বাদ দিয়েছেন হুমায়ুন চাচা। ওঁর রাজনীতি বাবরি মসজিদকে ইস্যু করে, তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই উনি হিন্দুদের দলে রাখবেন না।”

উল্লেখ্য, গত সোমবার বেলডাঙার জনসভা থেকে নিশার নাম ঘোষণা করেছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই নিশার খোলামেলা পোশাকের ভিডিও এবং ব্লগকে ‘অসংস্কৃতির’ তকমা দিয়ে তাঁর নাম প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। হুমায়ুন কবীরের সাফ কথা, “বিধানসভা একটি পবিত্র জায়গা, সেখানে খোলামেলা পোশাক পরিহিতদের কোনো জায়গা নেই।” তিনি আরও জানিয়েছেন, বালিগঞ্জে এবার কোনো মুসলিম প্রার্থীকে দাঁড় করানো হবে।

এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হয়ে নিশা তৃণমূলের তারকা নেত্রী সায়নী ঘোষ, নুসরত জাহান ও মিমি চক্রবর্তীর উদাহরণ টেনে আনেন। তাঁর প্রশ্ন, “তাঁরা যখন খোলামেলা পোশাকে বা হাতে সিগারেট নিয়ে ভিডিও দেন, তখন তো কেউ আপত্তি করে না। তাঁরা সাংসদ-বিধায়ক হতে পারলে আমার দোষ কোথায়?” নিশার দাবি, ইনফ্লুয়েন্সার হওয়া মানেই কি সমাজে ব্রাত্য হওয়া? প্রার্থী বদল এবং এই ধর্মীয় ও পোশাক বিতর্ক এখন রাজ্য রাজনীতির নতুন হট টপিক।