দীপুকে পুলিশের বদলে জনতার হাতে তুলে দিয়েছিলেন ফ্লোর ইন-চার্জ, র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে চাঞ্চল্যকর তথ্য

গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর ২০২৫) ময়মনসিংহের ভালুকার জামিরদিয়া এলাকায় ২৭ বছর বয়সী হিন্দু যুবক দীপু চন্দ্র দাসকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। র্যাব জানিয়েছে, প্রথমে তাঁকে গণপিটুনি দেওয়া হয়, তারপর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ডিভাইডারের গাছে ঝুলিয়ে তাঁর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দীপু ‘পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড’ নামক একটি কারখানায় কর্মরত ছিলেন।
র্যাবের বিস্ফোরক দাবি: * কর্মস্থলের বিশ্বাসঘাতকতা: র্যাব জানিয়েছে, ঘটনার দিন কারখানার ভেতরে বাগবিতণ্ডা শুরু হলে ফ্লোর ইন-চার্জ আলমগীর হোসেন দীপুকে জোর করে চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করেন।
-
জনতার হাতে অর্পণ: দীপুকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বদলে কারখানা কর্তৃপক্ষ ও ফ্লোর ইন-চার্জ তাঁকে কারখানার গেটে অপেক্ষারত উত্তেজিত জনতার হাতে তুলে দেন।
-
মিথ্যা অভিযোগ: র্যাবের তদন্তে দেখা গেছে, দীপুর বিরুদ্ধে ওঠা ‘ধর্ম অবমাননা’র অভিযোগের কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মেলেনি। অধিনায়ক নাইমুল হাসান বলেন, “আমরা বারবার জানার চেষ্টা করেছি তিনি ঠিক কী বলেছিলেন, কিন্তু কেউ কোনো পরিষ্কার উত্তর দিতে পারেনি।”
আইনি ব্যবস্থা ও গ্রেফতার: সিসিটিভি ফুটেজ এবং ভিডিও খতিয়ে দেখে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭ জনকে র্যাব এবং ৩ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের মধ্যে কারখানার ফ্লোর ইন-চার্জ আলমগীর হোসেন এবং কোয়ালিটি ইন-চার্জ মিরাজ হোসেন আকনও রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা দীপুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং তাঁকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছেন।