“বাংলাদেশি দূতাবাস বন্ধ করো!” দীপপু দাসের নিথর দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ফুঁসছে হিন্দু সংগঠনগুলো।

বাংলাদেশে অশান্তির আগুন স্তিমিত হলেও হিন্দুদের ওপর টার্গেটেড হামলা থামছে না। সম্প্রতি ঢাকার হিন্দু যুবক দীপু দাসের ওপর নৃশংস আক্রমণ এবং পিটিয়ে মারার পর স্রেফ ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে তাঁর নিথর দেহ সশরীরে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় আন্তর্জাতিক স্তরে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এই পৈশাচিকতার বিরুদ্ধে এখন শুধু ভারতেই নয়, প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপালেও প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দীপু দাসের স্মরণে শোকসভা ও মৌন প্রতিবাদ পালিত হয়েছে। অন্যদিকে, ভারতে এর তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। জমশেদপুরে বিজেপি এবং হিন্দু সংগঠনগুলি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের কুশপুতুল দাহ করে বিক্ষোভ দেখায়। দিল্লির বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনেও ভিড় জমাতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা, যদিও পুলিশি তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। অসম ও ত্রিপুরার সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতেও হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে ধিক্কার মিছিল বের করেন।
প্রতিবাদের এই আঁচ পৌঁছেছে নেপালেও। নেপালের ৮টি জেলায় হিন্দু সংগঠনগুলো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। কাঠমাণ্ডুতে বিক্ষোভকারীরা দাবি তুলেছেন যে, নেপাল থেকে অবিলম্বে বাংলাদেশি দূতাবাস সরিয়ে দেওয়া হোক এবং তাঁদের কূটনীতিকদের বহিষ্কার করা হোক। অভিযোগ উঠেছে, বাংলাদেশে বর্তমানে জিহাদিরা সক্রিয় এবং তারা আওয়ামী লীগের কর্মীদের পাশাপাশি সংখ্যালঘু হিন্দুদের বেছে বেছে লক্ষ্যবস্তু করছে।