এয়ারটেলের হাত ধরে শুরু, আজ রাজনৈতিক দলগুলোর ‘মসিহা’! জানুন প্রুডেন্ট ট্রাস্টের বিস্ময়কর উত্থান।

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪-এ সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনী বন্ডকে ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করার পর সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছিল—এবার রাজনৈতিক দলগুলোর তহবিলে টাকা আসবে কোথা থেকে? উত্তরটা লুকিয়ে আছে ‘প্রুডেন্ট ইলেক্টোরাল ট্রাস্ট’-এর মধ্যে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে প্রায় ২,৬৬৮ কোটি টাকার অনুদানের মধ্যে ২,১৮০ কোটি টাকাই গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে, যেখানে কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ২১৬ কোটি।
প্রুডেন্ট ইলেক্টোরাল ট্রাস্ট আসলে কী? ২০১৩ সালে ভারতী এন্টারপ্রাইজেস (এয়ারটেল) ‘সত্য ইলেক্টোরাল ট্রাস্ট’ নামে এটি শুরু করে, যা ২০১৪ সালে নাম বদলে হয় ‘প্রুডেন্ট’। এটি একটি অলাভজনক কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত। নিয়ম অনুযায়ী, এই ট্রাস্ট এক বছরে যত টাকা সংগ্রহ করে, তার অন্তত ৯৫% সেই অর্থবর্ষেই রাজনৈতিক দলগুলোকে বণ্টন করতে হয়। বর্তমানে মুকুল আনন্দ গোয়েল এবং গণেশ ভি. ভেঙ্কটচলম এটি পরিচালনা করছেন।
কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ? নির্বাচনী বন্ডে দাতার নাম গোপন থাকত, কিন্তু এই ট্রাস্টের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া রিপোর্টে দাতাদের নাম প্রকাশ করা হয়। তবে কোন দাতা ঠিক কত টাকা দিয়েছেন, তা সরাসরি বলা হয় না। ভারতী এয়ারটেল, ডিএলএফ, হিরো মোটোকর্পের মতো বড় বড় কর্পোরেট হাউসগুলি এই ট্রাস্টের প্রধান দাতা। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৩ সাল থেকে সংগৃহীত তহবিলের প্রায় ৮০% অংশই বিজেপি পেয়ে আসছে। নির্বাচনী বন্ড নিষিদ্ধ হওয়ার পর কর্পোরেট ও রাজনীতির মেলবন্ধনে এই ট্রাস্ট এখন সবথেকে শক্তিশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে।