ভবিষ্যতের চিন্তায় ঘুম উবেছে? বয়স অনুযায়ী এই তিন ফর্মুলায় বিনিয়োগ করলেই কেল্লাফতে!

শুধু টাকা রোজগার করলেই হয় না, তাকে সঠিক পথে চালিত করাটাও একটা শিল্প। বয়স বাড়ার সাথে সাথে জীবনের দায়িত্ব বদলায়, আর তাই বিনিয়োগের কৌশলও হওয়া উচিত আলাদা। ভবিষ্যতের আর্থিক চাপ এড়াতে SIP, EPF এবং NPS-এর সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি।

কেরিয়ারের শুরুতে, অর্থাৎ ২০-এর কোঠায় ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা বেশি থাকে। এই সময় ইক্যুইটি SIP-তে বেশি জোর দেওয়া উচিত, যা দীর্ঘমেয়াদে ‘পাওয়ার অফ কম্পাউন্ডিং’-এর সুবিধা দেবে। ৩০ বছরে পৌঁছালে যখন পরিবারের দায়িত্ব বাড়ে, তখন SIP-এর পাশাপাশি NPS যোগ করা বুদ্ধিমানের কাজ। এটি যেমন অবসরের তহবিল গড়বে, তেমনই অতিরিক্ত কর সাশ্রয়েও সাহায্য করবে।

৪০-এর কোঠায় পৌঁছে গেলে লক্ষ্য হওয়া উচিত মূলধন রক্ষা করা। এই সময় খুব বেশি ঝুঁকি না নিয়ে ইক্যুইটি ও ডেট ফান্ডের মধ্যে ভারসাম্য আনা প্রয়োজন। আর ৫০ বছর বয়সে যখন অবসর দোরগোড়ায়, তখন নিয়মিত আয়ের উৎস এবং নিরাপদ বিনিয়োগই হোক একমাত্র লক্ষ্য। তবে মনে রাখবেন, যেকোনো বিনিয়োগের আগে অন্তত ৬-৯ মাসের খরচের সমপরিমাণ টাকা ‘এমার্জেন্সি ফান্ড’ হিসেবে গচ্ছিত রাখা বাধ্যতামূলক। সঠিক পরিকল্পনা আর নিয়মিত পর্যালোচনাই আপনার আর্থিক ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করতে পারে।