তপ্ত সৈকতপুরী! দিঘার অবৈধ নির্মাণ থেকে ‘মাসোহারা’ নিচ্ছেন অখিল গিরি? শঙ্কুর অভিযোগে তোলপাড়

পর্যটনকেন্দ্র দিঘায় কি অবৈধ নির্মাণের রমরমা? আর সেই কারবার থেকেই কি মাসোহারা পৌঁছচ্ছে প্রভাবশালী বিধায়কের পকেটে? বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার এক জোরালো অভিযোগে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনীতি। কাঠগড়ায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা অখিল গিরি।
শঙ্কুদেবের তোপ: সৈকত নগরী দিঘায় একাধিক বেআইনি হোটেলের প্রসঙ্গ তুলে বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা সরাসরি আক্রমণ শানিয়েছেন অখিল গিরির বিরুদ্ধে। এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি অভিযোগ করেন, “সৈকত এলাকায় একাধিক অবৈধ নির্মাণ হয়েছে এবং নিয়ম করে সেই টাকার ভাগ পাচ্ছেন বিধায়ক। মাসোহারা দিয়ে হোটেল চলে এখানে।” এখানেই শেষ নয়, তাজপুর ও শঙ্করপুরে কোনও উন্নয়ন হয়নি বলেও এদিন দাবি করেন তিনি। শঙ্কুর সাফ কথা, দিঘার এই “উন্নয়ন বিরোধী” চক্রান্তের বিরুদ্ধে বিজেপি লাগাতার লড়াই চালাবে।
পাল্টা আক্রমণে অখিল গিরি: শঙ্কুদেবের এই অভিযোগকে স্রেফ ‘অপপ্রচার’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন অখিল গিরি। পালটা আক্রমণ শানিয়ে তিনি শঙ্কুদেবকে ‘চিটফান্ড-কাণ্ডে’ যুক্ত থাকার খোঁচা দেন। ক্ষুব্ধ বিধায়ক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, “আমি কোনও অবৈধ নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত নই। উনি একটা হোটেলের নাম বলতে পারবেন যেখান থেকে আমি টাকা নিই? আমাদের সরকার কোনও বেআইনি কাজকে প্রশ্রয় দেয় না।”
অখিল বাবু আরও স্পষ্ট করেন যে, দিঘায় বর্তমানে যে সব নতুন হোটেল হচ্ছে, তা রাজ্য সরকারের দেওয়া জমিতেই নিয়ম মেনে তৈরি হচ্ছে। কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বিশেষের স্বার্থে নিয়ম ভাঙা হচ্ছে না বলেই তাঁর দাবি।
রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন: দিঘার সমুদ্র উপকূল সংলগ্ন হোটেলগুলির নির্মাণ নিয়ে আগেও বিতর্ক দানা বেঁধেছে। কিন্তু এবার সরাসরি ‘মাসোহারা’র অভিযোগ ওঠায় তা প্রশাসনিক স্তরেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। একদিকে শঙ্কুর অভিযোগের পাহাড়, অন্যদিকে অখিলের কড়া চ্যালেঞ্জ— সব মিলিয়ে দিঘার রাজনীতির পারদ এখন তুঙ্গে।