৪০ টাকায় ভরপেট লাঞ্চ! নিজের শহরে রেস্তোরাঁ খুলেছেন অরিজিৎ সিং, মেনু কার্ড দেখলে চমকে যাবেন

তিনি বিশ্বের দরবারে ভারতের গর্ব, কিন্তু নিজের শহরে আজও তিনি সেই পুরনো ‘অরিজিৎ’। শুধু গানে নয়, মানুষের পেট ভরাতে জিয়াগঞ্জে নিজের রেস্তোরাঁ ‘হেঁশেল’-এ কার্যত সমাজসেবা চালাচ্ছেন গায়ক অরিজিৎ সিং। যেখানে নামী তারকারা বড় শহরে বিলাসবহুল ক্যাফে খোলেন, সেখানে অরিজিতের এই পারিবারিক হোটেল সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে পুষ্টিকর খাবার পরিবেশন করছে।

জলের দরে খাবার: এক নজরে মেনু কার্ড রেস্তোরাঁটির দেখাশোনা করেন গায়কের বাবা গুরদয়াল সিং। অরিজিৎ নিজে মাঝে মাঝে এসে খাবারের গুণগত মান পরীক্ষা করেন। এখানে স্টুডেন্ট থালি থেকে শুরু করে মটন কষা—সবই মিলবে অবিশ্বাস্য দামে:

স্টুডেন্ট থালি (JCET পড়ুয়াদের জন্য): মাত্র ৪০ টাকা।

স্পেশাল ভেজ থালি: ৬০ টাকা (ভাত, ডাল, ভাজা ও দু’রকম তরকারি)।

অমলেট থালি: ৯০ টাকা (২টি ডিমের অমলেট-সহ)।

বিরিয়ানি: ১৫০ টাকার আশেপাশে।

আমিষ পদ: চিকেন কষা (১৬০ টাকা), মটন কষা (১৭০ টাকা)।

অন্যান্য: জিরা রাইস (১৩০ টাকা), কাশ্মীরি পোলাও (২০০ টাকা), চিকেন টিক্কা (২৪০ টাকা থেকে শুরু)।

শুধু ব্যবসা নয়, লক্ষ্য যখন মানুষের সেবা: জিয়াগঞ্জের পলিটেকনিক কলেজের ছাত্রদের জন্য এই রেস্তোরাঁ এক বড় আশ্রয়। এ ছাড়াও অরিজিৎ সিং তাঁর এলাকায় হাসপাতাল নির্মাণ, খেলার মাঠ তৈরি এবং ইংরেজি শিক্ষার ক্লাস চালানোর মতো নানা সমাজকল্যাণমূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। আজও দুই ছেলেকে স্থানীয় স্কুলেই পড়ান তিনি এবং স্কুটি চালিয়ে নিজেই বাজার করতে বেরোন।

সময়সূচী: প্রতিদিন সকাল ১০:৩০ থেকে রাত ১০:৩০ পর্যন্ত ‘হেঁশেল’ খোলা থাকে। আপনি যদি মুর্শিদাবাদ ভ্রমণে যান, তবে অরিজিতের হাতের (বা তদারকির) খাবার চেখে দেখতে ভুলবেন না!