“বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা প্রজেনি ম্যাপে আটকে যাবে!” লাভপুর থেকে মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে বড় দাবি শুভেন্দুর

বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়ে এক নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন লাভপুরের সভা থেকে একদিকে যেমন তিনি বাঙালি মুসলিমদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন, তেমনই ‘অনুপ্রবেশ’ এবং ‘শিল্পের ব্যর্থতা’ নিয়ে রাজ্য সরকারকে নজিরবিহীন ভাষায় আক্রমণ করেছেন।
অনুপ্রবেশ ও এসআইআর নিয়ে কড়া বার্তা: রাজ্যে চলমান ভোটার তালিকা সংশোধনী বা এসআইআর (SIR) প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, এই পদক্ষেপের আসল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা। তাঁর দাবি:
প্রজেনি ম্যাপিং: অনুপ্রবেশকারীরা নথির অভাবে ‘প্রজেনি ম্যাপে’ (বংশলতিকা যাচাই) ধরা পড়ে যাবে।
ভোটের সমীকরণ: শুভেন্দুর মতে, হিন্দু ও আদিবাসীরা আগেই তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়েছেন। এবার মুসলিম ভোটারদের মধ্যেও ভাঙন শুরু হয়েছে। যদিও তাঁরা বিজেপিকে সমর্থন করবেন কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে তিনি বলেন, “অনেকে নওশাদ সিদ্দিকী বা মিমের দিকে ঝুঁকছেন।”
শিল্প ও কর্মসংস্থান নিয়ে তোপ: রাজ্য সরকারের একাধিক মেগা প্রজেক্ট নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধতে ছাড়েননি তিনি। বিশেষ করে ডেউচা-পাচামি এবং তাজপুর বন্দর প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
“২০২১ সাল থেকে তাজপুর আর ২০২২ থেকে ডেউচা-পাচামিতে লক্ষ লক্ষ চাকরির কথা শুনিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু আজ সেই প্রকল্পের টেন্ডার বাতিল হয়ে যাওয়া প্রমাণ করে দেয় যে রাজ্যে শিল্পের শ্মশানযাত্রা চলছে। এখানে শুষ্ক ঘাস ছাড়া আর কিছুই নেই।” — শুভেন্দু অধিকারী
বীরভূমের রাজনৈতিক গুরুত্ব: অনুব্রত মণ্ডলের জেলায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষ করে সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে তাঁর এই নতুন বিশ্লেষণ বীরভূমের রাজনৈতিক লড়াইকে এক নতুন মাত্রা দিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।