ফেব্রুয়ারি না কি জানুয়ারি? চিংড়িঘাটা ট্র্যাফিক জট ও মেট্রোর কাজ নিয়ে সোমবার রাজ্যকে বড় নির্দেশ আদালতের

অরেঞ্জ লাইনের (নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর) পূর্ণাঙ্গ পরিষেবা চালু করার পথে সবথেকে বড় কাঁটা এখন চিংড়িঘাটার ৩৬৬ মিটারের একটি অংশ। এই অংশের মেট্রো পিলারের কাজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্য ও রেলের মধ্যে দড়ি টানাটানি চলছে। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানিতে উঠে এল এক নতুন সম্ভাবনা।
৩ দিনের ফর্মুলা: এদিন আদালতে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (RVNL) দাবি করেছে যে, চিংড়িঘাটায় মেট্রোর কাজ শেষ করার জন্য দিনের বেলা নয়, মাত্র তিন দিন রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করলেই কেল্লাফতে! রেলের আইনজীবীর দাবি, এই অল্প সময়েই তাঁরা বাকি থাকা কাজটুকু গুটিয়ে নিতে পারবেন।
রাজ্যের অবস্থান ও হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ: রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করে এই কাজ করা যেতে পারে। তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে— কেন ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে? জানুয়ারি মাসেই এই ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করে কাজ শুরু করা সম্ভব কি না, তা আগামী সোমবারের মধ্যে রাজ্যকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
অরেঞ্জ লাইনের ভবিষ্যৎ: চিংড়িঘাটার এই সামান্য অংশের কাজ থমকে থাকায় নিউ গড়িয়া থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত মেট্রো চলাচলের পূর্ণ সুবিধা সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন না। গত ১৭ ডিসেম্বরের বৈঠকেও কোনো রফাসূত্র মেলেনি। ফলে সোমবার রাজ্য সরকার কী জানায়, তার ওপরই নির্ভর করছে ২০২৬-এর শুরুতে চিংড়িঘাটায় মেট্রোর কাজ শুরু হবে কি না।