OMG! বাড়ি থেকে উদ্ধার মাঝ বয়সি দম্পতির পচাগলা দেহ, তদন্তে নামলো পুলিশ

মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরে একটি ডুপ্লেক্স বাড়ির ভেতর থেকে এক মাঝবয়সি দম্পতির পচাগলা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার পুলিশ ওই বাড়ি থেকে কানাইয়ালাল পারনওয়াল ও তাঁর স্ত্রী স্মৃতি পারনওয়ালের দেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অন্তত ২০ দিন আগে মৃত্যু হয়েছে এই দম্পতির।

রহস্যের ঘেরাটোপে মৃত্যু

লাসুদিয়া থানার স্যাটেলাইট জংশন কলোনির ওই বাড়িতে বৃহস্পতিবার সকালে দুর্গন্ধ পান প্রতিবেশীরা। সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা পাশের বাড়ির বারান্দা থেকে উঁকি দিতেই শিউরে ওঠেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। দেখা যায়, বেডরুমের বিছানায় পড়ে রয়েছে কানাইয়ালালের দেহ এবং ঘর লাগোয়া শৌচালয় থেকে উদ্ধার হয় তাঁর স্ত্রীর দেহ। দুটি দেহেই পচন ধরেছিল।

কে এই দম্পতি?

মৃত কানাইয়ালাল উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের বাসিন্দা ছিলেন। মধ্যপ্রদেশের পিঠামপুরের একটি নামী ওষুধ কোম্পানিতে দীর্ঘকাল কাজ করার পর তিনি চাকরি ছেড়ে স্টক ট্রেডিং শুরু করেন। ১০ বছর আগে ইন্দোরে এই ডুপ্লেক্সটি বানিয়েছিলেন তাঁরা। পুলিশ জানতে পেরেছে, মাস ছয়েক আগে কানাইয়ালাল প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। স্বামীর এই শারীরিক অবস্থা দেখে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন স্ত্রী স্মৃতিও।

একাকীত্ব না কি অন্য কিছু?

প্রতিবেশীদের দাবি, ওই দম্পতি খুব একটা মেলামেশা করতেন না। এমনকি বাড়ির পরিচারিকাও আসতেন না। ২৬ নভেম্বরের পর স্মৃতিকে আর বাড়ির ছাদে দেখা যায়নি।

  • দুধ ও খবরের কাগজ: গত কয়েকদিন ধরে দরজায় দুধ ও খবরের কাগজ পড়ে থাকলেও কেউ তা তোলেনি।

  • প্রশাসনের দরজায় কড়া নাড়া: ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে বিএলও (BLO) এসেও ফিরে গিয়েছিলেন কারণ কেউ দরজা খোলেনি।

পুলিশ আপাতত দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এটি কি আত্মহত্যা, না কি শয্যাশায়ী স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রীর মানসিক আঘাত থেকে মৃত্যু— তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। একাকীত্বের পরিণাম যে কতটা ভয়াবহ হতে পারে, এই ঘটনা যেন আবারও তা প্রমাণ করল।