পরিকল্পিত নাশকতার বলি অন্নদাতা! হিঙ্গলগঞ্জে ধানের স্তূপে দাউদাউ আগুন, সর্বস্বান্ত অসহায় চাষি

হাড়ভাঙা খাটুনি দিয়ে ফলানো ফসল চোখের সামনে ছাই হতে দেখলেন এক কৃষক। উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের বিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম খেজুরঘড়িয়ায় ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। রাস্তার ধারে স্তূপ করে রাখা প্রায় এক বিঘা জমির ধান পুড়ে ছাই হয়ে গেল রহস্যজনক আগুনে।
নাশকতার অভিযোগ: কাঠগড়ায় দুষ্কৃতীরা
জমির মালিক কৌশিক মণ্ডল এই অগ্নিকাণ্ডকে নিছক দুর্ঘটনা বলে মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, এটি কোনো শর্ট সার্কিট নয়, বরং কেউ পরিকল্পিতভাবে তাঁর ধানের স্তূপে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। কৌশিকবাবুর বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে হওয়ায় খবর পেতে দেরি হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও ‘সব্যসাচী ক্লাব’-এর সদস্যরা তড়িঘড়ি আগুন নেভানোর চেষ্টায় নামলেও শেষ রক্ষা হয়নি। চোখের পলকে দাউদাউ আগুনে সব শেষ হয়ে যায়।
সংসার চালানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক পরিবার
আগুনে পুড়ে যাওয়া ছাইয়ের দিকে তাকিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন কৌশিকবাবু। তিনি জানান:
তিনি একজন এক ফসলী চাষি, অর্থাৎ বছরে এই একবারই তিনি ফসল পান।
এই ধান দিয়েই সারা বছরের সংসারের অন্নসংস্থান হওয়ার কথা ছিল।
এখন ফসল হারিয়ে পরিবারকে নিয়ে কীভাবে দিন গুজরান করবেন, তা ভেবেই কূল পাচ্ছেন না তিনি।
প্রশাসনের ভূমিকা ও সাহায্যের আর্জি
ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। গ্রামের অন্য চাষিদের মধ্যেও এখন চরম উদ্বেগ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। কৌশিক মণ্ডল প্রশাসনের কাছে উপযুক্ত তদন্ত ও সরকারি আর্থিক সাহায্যের জন্য আর্জি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি এটি সত্যিই কোনো দুষ্কৃতীমূলক কাজ হয়ে থাকে, তবে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।