মুসলিম বউমাকে নিয়ে অশান্তির শেষ পরিণতি! বাবা-মাকে কুচিয়ে নদীতে ভাসিয়ে দিল গুণধর ছেলে

উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরে ঘটে যাওয়া এক নারকীয় হত্যাকাণ্ড দেশজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মুসলিম তরুণীকে বিয়ে করার অপরাধে ছেলেকে ত্যাজ্য করার মাশুল দিতে হলো বাবা-মাকে। শুধু খুনই নয়, হত্যার পর বাবা ও মায়ের দেহ করাত দিয়ে টুকরো টুকরো করে নদীতে ভাসিয়ে দিল পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ছেলে।
অশান্তির মূলে ভিনধর্মে বিয়ে
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত দম্পতির নাম শ্যাম বাহাদুর (৬২) ও ববিতা (৬০)। তাঁদের ছেলে অম্বেশ বছর পাঁচেক আগে এক মুসলিম তরুণীকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। কিন্তু হিন্দু পরিবারে মুসলিম বউমাকে কোনোভাবেই মেনে নেননি অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী বাবা শ্যাম বাহাদুর। বাড়িতে প্রবেশাধিকার পর্যন্ত ছিল না অম্বেশের ও তাঁর পরিবারের। এই নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে অম্বেশের দীর্ঘকাল ধরেই চরম বিবাদ চলছিল।
খোরপোশের টাকা না পাওয়াতেই চরম সিদ্ধান্ত?
সাম্প্রতিক সময়ে অম্বেশ ও তাঁর স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ বা ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু প্রাক্তন স্ত্রীকে খোরপোশ দেওয়ার মতো আর্থিক সামর্থ্য ছিল না ওই যুবকের। বাবার কাছে হাত পাতলেও স্পষ্ট না করে দেন বৃদ্ধ শ্যাম বাহাদুর। অভিযোগ, আর্থিক অনটন এবং দীর্ঘদিনের ক্ষোভ থেকেই নিজের জন্মদাত্রী ও জন্মদাতাকে সরানোর পরিকল্পনা করেন অম্বেশ।
যেভাবে প্রকাশ্যে এল নারকীয় হত্যাকাণ্ড
গত ১৩ ডিসেম্বর দম্পতির মেয়ে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করলে তদন্তে নামে পুলিশ। অম্বেশ দাবি করেছিলেন, ৮ ডিসেম্বর ঝগড়া করে তাঁর বাবা-মা বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। কিন্তু পুলিশের জেরায় ভেঙে পড়ে অম্বেশ স্বীকার করেন আসল সত্য।
খুনের হাড়হিম করা বিবরণ:
গত ৮ ডিসেম্বর ঝগড়া চরমে পৌঁছালে শিলনোড়া দিয়ে বাবা-মায়ের মাথায় আঘাত করে খুন করেন অম্বেশ।
প্রমাণ লোপাটের জন্য একটি করাত কিনে আনেন তিনি।
বাথরুমে নিয়ে গিয়ে বাবা-মায়ের দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ব্যাগে ভরেন।
রাতের অন্ধকারে সেই দেহের টুকরোগুলি স্থানীয় নদীতে ফেলে দিয়ে আসেন।
ইতিমধ্যেই নদী থেকে শ্যাম বাহাদুরের দেহের কিছু অংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ববিতা দেবীর মরদেহের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ঘাতক ছেলে অম্বেশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উচ্চশিক্ষিত এক ইঞ্জিনিয়ারের এমন পশুপ্রবৃত্তি দেখে স্তম্ভিত তদন্তকারী আধিকারিকরাও।