রেললাইনে সাক্ষাৎ যম! চালকের তৎপরতায় নিশ্চিত মৃত্যু থেকে বাঁচল ৮টি হাতি, বড়সড় দুর্ঘটনা এড়াল ক্যাপিটাল এক্সপ্রেস

উত্তরবঙ্গের রেলপথে আবারও একবার বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল বন্যপ্রাণ ও যাত্রীবাহী ট্রেন। বৃহস্পতিবার চালসা ও নাগরাকাটা স্টেশনের মাঝপথে আপ ক্যাপিটাল এক্সপ্রেস (১৩২৪৮) দুর্ঘটনার মুখে পড়তে চললেও, দুই রেল চালকের অসাধারণ ক্ষিপ্রতা ও দায়িত্ববোধে প্রাণে বাঁচল একদল হাতি।

ঠিক কী ঘটেছিল?
রেল সূত্রে খবর, ট্রেনটি যখন চালসা এবং নাগরাকাটা স্টেশনের মাঝামাঝি ৭১/৬–৭ কিলোমিটার এলাকায় পৌঁছায়, তখন হঠাৎই লোকো পাইলট শ্রী সঞ্জিত সরকার ও সহকারী লোকো পাইলট শ্রী অলোক কুমার সিং দেখতে পান সামনের লাইনের ওপর ৮-১০টি হাতির একটি দল দাঁড়িয়ে রয়েছে। ট্রেনের গতিবেগ থাকা সত্ত্বেও বিন্দুমাত্র আতঙ্কিত না হয়ে তাঁরা তৎক্ষণাৎ জরুরি ব্রেক কষেন এবং ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

মানবিকতার জয় ও নিরাপদ যাত্রা
চালকদের এই দ্রুত সিদ্ধান্তের ফলে ট্রেনটি হাতির পালের থেকে নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে যায়। হাতির দলটি নির্বিঘ্নে রেললাইন পার হয়ে গভীর জঙ্গলের দিকে চলে না যাওয়া পর্যন্ত চালকরা ট্রেনটি স্থির রাখেন। বন্যপ্রাণীরা নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছানোর পরেই পুনরায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। এই ঘটনায় ট্রেনের কোনও যাত্রী বা বন্যপ্রাণের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

প্রশংসায় পঞ্চমুখ রেল কর্তৃপক্ষ
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে দুই চালকের এই দায়িত্বশীল আচরণের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের পাশাপাশি যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য তাঁদের বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন সাধারণ যাত্রীরাও। উত্তরবঙ্গের এই হাতি-প্রবণ এলাকায় চালকদের এমন সচেতনতা আগামী দিনে আরও বড় দুর্ঘটনা রুখতে সাহায্য করবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।