খাস কলকাতায় সহকর্মীকে অপহরণ! ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন গাইঘাটায়, কাঁকিনাড়া থেকে উদ্ধার যুবক

কর্মক্ষেত্রে বিবাদের জেরে এক যুবককে অপহরণ করে ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়ার নজিরবিহীন ঘটনা ঘটল। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার বাসিন্দা রুদ্র বিশ্বাসকে অপহরণ করার অভিযোগে কাঁকিনাড়া থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম দানিশ শরিফ, যে হুগলির ভদ্রেশ্বরের বাসিন্দা। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
নিখোঁজ থেকে মুক্তিপণের ফোন
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাইঘাটার শিমুলিয়াপাড়ার বাসিন্দা রুদ্র বিশ্বাস কর্মসূত্রে কাঁকিনাড়ায় কাজ করতেন। কয়েকদিন আগে তিনি কাজে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি। দীর্ঘ সময় খোঁজ না মেলায় তাঁর মা রত্না বিশ্বাস গাইঘাটা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। অভিযোগ, নিখোঁজ হওয়ার কিছু সময় পরেই রত্না দেবীর মোবাইলে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। ফোনের ওপার থেকে রুদ্রর মুক্তির বদলে ২ লক্ষ টাকা দাবি করা হয় এবং টাকা না দিলে ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।
মোবাইল টাওয়ার লোকেশনে বাজিমাত
বিষয়টি জানার পর বিন্দুমাত্র দেরি না করে তদন্তে নামে গাইঘাটা থানার পুলিশ। যে নম্বর থেকে ফোন এসেছিল, তার টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে কাঁকিনাড়া এলাকায় হানা দেয় পুলিশের একটি বিশেষ দল। সেখান থেকেই অক্ষত অবস্থায় রুদ্রকে উদ্ধার করা হয় এবং হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত দানিশ শরিফকে।
বিবাদের জেরে অপহরণ?
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অপহৃত রুদ্র এবং ধৃত দানিশ একই জায়গায় কাজ করতেন। কর্মক্ষেত্রে টাকা-পয়সা নিয়ে তাঁদের মধ্যে আগে থেকেই কোনও বিবাদ ছিল বলে পুলিশের অনুমান। সেই রাগের বশেই কি দানিশ এই অপহরণের ছক কষেছিল, নাকি এর পিছনে বড় কোনও চক্র রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশি হেফাজতে অভিযুক্ত
বৃহস্পতিবার ধৃত দানিশকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না, তা জানতে দানিশকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া রুদ্র বিশ্বাসকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।