SIR-হিয়ারিংয়ে ডাক পেতে পারেন আপনিও, কী করতে হবে? জানুন নিয়মকানুন

আগামীকাল, শুক্রবার প্রকাশিত হতে চলেছে রাজ্যের খসড়া ভোটার তালিকা (Draft Voter List)। আর এই তালিকাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে প্রায় ৫৮ লক্ষ ২০ হাজার ৮৯৮ জন ভোটারের নাম। মৃত, নিখোঁজ কিংবা একাধিক জায়গায় নাম থাকা ভোটারদের চিহ্নিত করতেই এই বড় পদক্ষেপ কমিশনের।

কেন বাদ পড়তে পারে নাম? কমিশন সূত্রের খবর, যাচাই প্রক্রিয়ার পর আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে। তবে তার আগে শুরু হচ্ছে সংশোধন ও হিয়ারিং (শুনানি) পর্ব। যাদের নথিতে সামান্যতম অসঙ্গতি পাওয়া যাবে, তাদেরই তলব করবে কমিশন।

হিয়ারিং-এ কাদের ডাক পড়বে? জেনে নিন ৪টি গুরুত্বপূর্ণ কারণ:

১. পুরনো তালিকায় নাম না থাকা: ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যাদের নাম নেই, অথচ নতুন আবেদন করেছেন— তাদের অতিরিক্ত যাচাইয়ের জন্য ইআরও (ERO) ডাকতে পারেন। ২.

পরিবারের তথ্যে অমিল: যদি কোনো পরিবারের কোনো সদস্যেরই নাম পুরনো তালিকায় না থাকে, তবে তাদের নাগরিকত্ব সংক্রান্ত প্রমাণের জন্য হিয়ারিং-এ ডাকা হতে পারে। ৩. তথ্যে ভুল: ফর্ম ফিলাপের সময় দেওয়া তথ্য যদি কমিশনের মূল ডাটাবেসের সঙ্গে না মেলে, তবে সেই ভোটারকে সশরীরে হাজিরা দিতে হতে পারে। ৪. অস্পষ্ট ফর্ম: বিএলও (BLO) যদি আপনার ফর্মে দেওয়া কোনো তথ্য বুঝতে না পারেন বা কোনো অস্পষ্টতা থাকে, সেক্ষেত্রেও শুনানির ডাক আসতে পারে।

বাদ পড়ার হাত থেকে বাঁচবেন কীভাবে? কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে, হিয়ারিং-এ ডাক পড়লে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আধার কার্ড ছাড়াও নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত ১১টি নথির মধ্যে যেকোনো একটি বৈধ নথি (যেমন- পাসপোর্ট, প্যান কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি) সাথে রাখতে হবে। সঠিক প্রমাণ দেখাতে পারলেই চূড়ান্ত তালিকায় আপনার নাম নিশ্চিত করা হবে।

নিজেদের ভোটাধিকার সুনিশ্চিত করতে আগামীকালই খসড়া তালিকায় নিজের নাম পরীক্ষা করে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল।