“বাংলাদেশ ভারতের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে”-ভয়ানক তথ্য দিলেন হাসিনা-পুত্র জয়

বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেই ভারতকে বড়সড় বিপদের সতর্কবার্তা দিলেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তাঁর দাবি, ড. মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ছত্রছায়ায় বাংলাদেশে ফের ঘাঁটি গাড়ছে কট্টরপন্থী মুসলিম জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো, যা ভারতের নিরাপত্তার জন্য চরম ‘থ্রেট’ হতে চলেছে।
ভারতের জন্য কেন বিপজ্জনক? সম্প্রতি এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে জয় দাবি করেন, বাংলাদেশে বর্তমানে কট্টরপন্থীদের অবাধ ছাড় দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “আওয়ামী লিগ ক্ষমতায় থাকাকালীন ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত সুরক্ষিত ছিল এবং জঙ্গিদের এক ইঞ্চি জমিও ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু এখন পরিস্থিতি উল্টো। লস্কর-ই-তৈবা এবং আল-কায়দার মতো কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠনগুলো বাংলাদেশে জনসভা করছে। এমনকি ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য সেখানে পুনরায় জঙ্গি ট্রেনিং ক্যাম্প খোলা হয়েছে।”
হাসিনার প্রত্যর্পণ ও বিচার নিয়ে প্রশ্ন: ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর তোড়জোড় চালাচ্ছে বর্তমান সরকার। এ প্রসঙ্গে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সপাট জবাব— “বাংলাদেশে ন্যূনতম বিচারপ্রক্রিয়াও মানা হচ্ছে না। আমার মাকে আইনজীবী রাখার সুযোগ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ভারত তাঁকে ফেরত পাঠাবে বলে মনে হয় না।” পাশাপাশি ঢাকা-ইসলামাবাদ ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
নির্বাচন নিয়ে বিস্ফোরক দাবি: বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে জয় জানান, দেশের বৃহত্তম দল আওয়ামী লিগ এবং জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে কোনো ভোট হতে পারে না। তাঁর মতে, এটি বাংলাদেশের অর্ধেক মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার নামান্তর। ইউনূস সরকার সুপরিকল্পিতভাবে প্রগতিশীল দলগুলোকে কোণঠাসা করে কট্টরপন্থীদের ক্ষমতায় বসাতে চাইছে বলে তিনি অভিযোগ তোলেন।
আওয়ামী লিগের ভবিষ্যৎ: দলীয় কর্মীদের প্রতি বার্তা দিয়ে জয় বলেন, “আওয়ামী লিগ দেশের ৪০ শতাংশ মানুষের সমর্থিত দল। আমাদের হাজার হাজার কর্মী-সমর্থককে মাঠ থেকে মুছে ফেলা অসম্ভব। আমরা খুব শীঘ্রই ফিরব।” দলের নেতৃত্ব কে দেবেন— তা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কর্মীরাই ঠিক করবেন বলে জানান তিনি।
সব মিলিয়ে, পড়শি দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে জয়ের এই বয়ান দুই দেশের কূটনৈতিক মহলে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।