মেসি কাণ্ডে ধৃতদের পাশে শুভেন্দু! ‘ভুয়ো’ এফআইআরের বিরুদ্ধে লড়বে বিজেপি, বড় চাল বিরোধী দলনেতার

সল্টলেকের যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসিকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া লঙ্কাকাণ্ড এবার আইনি মোড় নিল। বিশৃঙ্খলার দায়ে পুলিশ যাঁদের গ্রেফতার করেছে, তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে সরাসরি ময়দানে নামল বিজেপি। বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ধৃত দর্শকদের সম্পূর্ণ আইনি সহায়তা দেবে তাঁর দল।
ধৃতদের হয়ে আইনি লড়াই লড়বে বিজেপি শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, পুলিশ ‘ভুয়ো’ এফআইআর দায়ের করে সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করছে। তিনি বলেন, “ধৃতদের জন্য আমাদের আইনজীবীরা আদালতে লড়বেন। জামিন করানো থেকে শুরু করে আইনি লড়াই—সবদিকেই বিজেপি পাশে থাকবে। ইতিমধ্যেই একটি জনস্বার্থ মামলা (PIL) করা হয়েছে।” শুভেন্দুর দাবি, যাঁরা টিকিট কিনে বৈধভাবে খেলা দেখতে গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই উচ্চশিক্ষিত এবং পেশাদার। তাঁদের গ্রেফতারি অনভিপ্রেত।
গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে ৬ এদিকে, তদন্তে নেমে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম রূপক মণ্ডল, যিনি চিংড়িঘাটার বাসিন্দা। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাঁকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর ফলে যুবভারতী কাণ্ডে গ্রেফতারির মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয়। বুধবার সকালেই রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)-এর উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা স্টেডিয়ামের মাঠ ও গ্যালারি পরিদর্শন করেছেন।
২৫ কোটির দুর্নীতির অভিযোগ যুবভারতী কাণ্ড নিয়ে সরাসরি শাসকদলকেও বিঁধেছেন শুভেন্দু। তাঁর প্রশ্ন, “যাঁরা এই প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি করলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কই? ২৫ কোটি টাকা অ্যাডভান্স কে করেছে? এতে পুরো দল যুক্ত।” তাঁর ইঙ্গিত যে আয়োজকদের দিকে, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি ওয়াকিবহাল মহলের।
ঘটনার প্রেক্ষাপট গত শনিবার মেসি, সুয়ারেজ়দের দেখতে যুবভারতীতে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। কিন্তু অভিযোগ, চড়া দামে টিকিট কিনেও অব্যবস্থার কারণে দর্শকরা প্রিয় তারকাকে দেখার সুযোগ পাননি। ক্ষোভে দর্শকরা হোর্ডিং ছেঁড়ে, চেয়ার ভাঙচুর করে এবং শেষে ফেন্সিং ভেঙে মাঠে নেমে আসে। এই ‘তাণ্ডব’ নিয়ে বিধাননগর পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।
উদ্যোক্তাদের গাফিলতি নাকি দর্শকদের উত্তেজনা—যুবভারতী কাণ্ডকে কেন্দ্র করে এখন সরগরম রাজ্য রাজনীতি।