শতদ্রুর ‘গাফিলতি’ না পুলিশের ভুল? মেসির হোটেল বদল নিয়ে সিপির মন্তব্যে নতুন মোড়!

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে লিওনেল মেসির উপস্থিতিতে যে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। এবার খোদ কলকাতার পুলিশ কমিশনার (CP) মনোজ ভর্মা মেসির থাকা এবং আয়োজকদের যোগাযোগ নিয়ে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন।
তাজ বেঙ্গল নয়, হায়াতে কেন মেসি? পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসির থাকার কথা ছিল কলকাতার বিখ্যাত পাঁচতারা হোটেল ‘তাজ বেঙ্গল’-এ। সেই মর্মে আয়োজক শতদ্রু দত্ত পুলিশের সঙ্গে একবার কথাও বলেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে অনুষ্ঠানের সূচি এবং হোটেল বদলে যখন ‘হায়াত’-এ থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তারপর থেকে শতদ্রু পুলিশের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশৃঙ্খলা কি তবে এই সমন্বয়ের অভাব থেকেই শুরু? উত্তরের খোঁজে এখন লালবাজার।
তদন্তে দুঁদে অফিসারদের নিয়ে ‘SIT’ গঠন যুবভারতীর সেই কালো রাতের ঘটনা খতিয়ে দেখতে এবার ময়দানে নামল বিশেষ তদন্তকারী দল বা SIT (Special Investigation Team)। শীর্ষ পুলিশ কর্তা পীযূষ পান্ডের নেতৃত্বে এই টিমে রয়েছেন জাভেদ শামিম, সুপ্রতীম সরকার এবং মুরলীধর শর্মার মতো অভিজ্ঞ অফিসাররা। মঙ্গলবারই তাঁরা যুবভারতী স্টেডিয়াম সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন এবং বিধাননগর কমিশনারেটের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
পুলিশের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সিপি-র হুঙ্কার কলকাতা পুলিশের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনে এসে মনোজ ভর্মা সাফ জানান, “আমরা প্রতিটি পয়েন্ট নোট করেছি। যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। সারা শহরের প্রতিটি থানাকে সতর্ক করা হয়েছে।”
রিপোর্টে কী আছে? মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীমকুমার রায়ের কমিটি ইতিমধ্যেই প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এই কমিটিতে রয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। মাঠের ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে পুলিশের নজরদারি—সব ক্ষেত্রেই কোথায় ফাঁক ছিল, তা জানতে পুলিশ ও ক্রীড়া দপ্তরের কাছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
এখন দেখার, শতদ্রু দত্তের পুলিশি হেফাজত এবং এই হাই-প্রোফাইল সিট গঠন শেষ পর্যন্ত কোন রাঘববোয়ালদের অস্বস্তিতে ফেলে।