প্রতীক্ষার অবসান: প্রকাশিত হয়েছে খসড়া ভোটার তালিকা! মোবাইলে কীভাবে চেক করবেন, নাম না থাকলে কী করবেন?

অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে নির্বাচন কমিশন খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে। আপনার কাছে যদি একটি মোবাইল ফোন থাকে, তবে এখনই আপনি দেখে নিতে পারবেন SIR প্রক্রিয়া পরবর্তী ভোটার তালিকায় আপনার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে কি না।

মাত্র এক মিনিটে তালিকা দেখার দুটি সহজ উপায়:

ওয়েবসাইট: আপনার মোবাইলে voters.eci.gov.in এই ওয়েবসাইটে ক্লিক করলেই খসড়া তালিকাটি পেয়ে যাবেন।

অ্যাপ: কমিশনের অ্যাপ ECINET-এও তালিকাটি প্রকাশ করা হয়েছে। আপনি GOOGLE PLAY STORE অথবা অ্যাপ স্টোর থেকে ECINET অ্যাপটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

আপনার নাম বাদ গেলে কী করবেন?
যদি কোনও কারণে খসড়া তালিকায় আপনার নাম না থাকে, অথবা আপনি যদি আগেই প্রকাশিত নাম বাদের তালিকায় নিজের নাম দেখে থাকেন, তাহলে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। তালিকা সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগ ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত জানানো যাবে। নির্বাচন কমিশন তা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ নেবে এবং প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে শুনানিতে ডাকবে।

১৬ ডিসেম্বর থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি অবধি শুনানি ও ভেরিফিকেশন চলবে। ১৪ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে।

শুনানিতে গেলে আধার ছাড়াও কী কী নথি লাগবে?
যদি শুনানির জন্য আপনাকে ডাকা হয়, তবে আধারকার্ড ছাড়াও নিম্নলিখিত নথিগুলির মধ্যে যে কোনও একটি বা একাধিক প্রমাণপত্র আপনার সঙ্গে নিয়ে যেতে হতে পারে:

কেন্দ্রীয় অথবা রাজ্য সরকারের কর্মী হিসাবে কাজ করেছেন বা পেনশন পান, এমন পরিচয়পত্র।

১৯৮৭ সালের পয়লা জুলাইয়ের আগে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, LIC, স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া যে কোনও নথি।

বার্থ সার্টিফিকেট (জন্ম প্রমাণপত্র)।

পাসপোর্ট।

মাধ্যমিক বা তার পরের শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট।

রাজ্য সরকারের অধীনস্থ কোনও উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া বাসস্থানের সার্টিফিকেট (Residence Certificate)।

ফরেস্ট রাইট সার্টিফিকেট (Forest Right Certificate)।

জাতিগত সার্টিফিকেট (Caste Certificate)।

জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (শুধুমাত্র অসমের ক্ষেত্রে)।

স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া ফ্যামিলি রেজিস্টার।

সরকারের দেওয়া ল্যান্ড অথবা হাউস অ্যালটমেন্ট সার্টিফিকেট।

নোটিস পাননি, অথচ নাম নেই?
যদি দেখেন খসড়া ভোটার তালিকায় আপনার নাম নেই, অথচ আপনি কোনও শুনানির ডাক বা নোটিস পাননি, সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন বলছে, আপনাকে ফর্ম ৬-এর অ্যানেক্সার ৪ (Annexure 4) ফিলআপ করে নতুন করে ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য আবেদন করতে হবে।

সতর্ক বার্তা: নির্বাচন কমিশন কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS)-এর ৩৩৭ ধারা অনুযায়ী, কেউ যদি নথি জাল করেন, তাহলে সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানা হতে পারে।