রাজ্যের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে কেন্দ্রে বরাদ্দ কাঠামো পরিবর্তন, চাল কমিয়ে গম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত; ডিলার ও চাষিদের মধ্যে উদ্বেগ

রাজ্যের খাদ্য দপ্তরের অনুরোধ সত্ত্বেও ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের (National Food Security Act – NFSA) আওতায় থাকা রেশন গ্রাহকদের খাদ্যশস্যের বরাদ্দে বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে কেন্দ্র। কেন্দ্র সরকার রেশনে চালের পরিমাণ কমিয়ে গমের বরাদ্দ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা রাজ্যের খাদ্য দপ্তরকে নতুন করে বরাদ্দ কাঠামো সাজাতে বাধ্য করবে।বরাদ্দের বর্তমান কাঠামো (২০২৫ পর্যন্ত):গ্রাহকের শ্রেণীমোট বরাদ্দচালগমSPH/SPPH (মাথাপিছু)৫ কেজি/মাস৩ কেজি২ কেজিঅন্ত্যোদয় (পরিবার পিছু)৩৫ কেজি/মাস২০ কেজি১৫ কেজিনতুন বরাদ্দের কাঠামো (১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে):কেন্দ্রের খাদ্য মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে মাথাপিছু ৫ কেজির মধ্যে চাল কমিয়ে গম বৃদ্ধি করা হবে:গ্রাহকের শ্রেণীমোট বরাদ্দচালনতুন বরাদ্দ (গম)SPH/SPPH (মাথাপিছু)৫ কেজি/মাস২ কেজি৩ কেজিঅন্ত্যোদয় (পরিবার পিছু)৩৫ কেজি/মাস১৫ কেজি২০ কেজিরাজ্যের ভূমিকা:রাজ্য সরকার এই ভিত্তিতেই কেন্দ্র থেকে খাদ্যশস্য পাবে। কেন্দ্র জানিয়েছে, গ্রাহককে কী পরিমাণে খাদ্যশস্য দেওয়া হবে, সেটা রাজ্যই ঠিক করবে। তবে কেন্দ্রের বরাদ্দকৃত পরিমাণের থেকে কম খাদ্যশস্য গ্রাহককে দেওয়া যাবে না।রাজ্য সরকার এখন মাথাপিছু সর্বোচ্চ ৩ কেজি করে চাল দিতে পারে, কিন্তু গমের পরিমাণ কমানো যাবে না, তা মাথাপিছু ৩ কেজি করেই দিতে হবে।চাষিদের উদ্বেগ:রাজ্য সরকার সেন্ট্রাল পুল এবং স্টেট পুলের জন্য আলাদাভাবে চাল মজুত করে রাখে। জাতীয় প্রকল্পের আওতায় থাকা রেশন গ্রাহকদের পাশাপাশি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এবং বিভিন্ন স্কুলের মিড ডে মিলের জন্য সেন্ট্রাল পুলের চাল সরবরাহ করা হয়।২০২৫-২৬ খরিফ মরশুমে রাজ্যের ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৬৭ লক্ষ টন, যার মধ্যে সেন্ট্রাল পুলের জন্য কেনা হবে ৪১ লক্ষ ১৫ হাজার টন ধান। কেন্দ্র যদি চালের বরাদ্দ কমিয়ে দেয়, তবে সেন্ট্রাল পুলে চাল কম লাগবে। এর ফলে রাজ্যের চাষিদেরই ক্ষতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।রেশন ডিলারদের সর্বভারতীয় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এই প্রসঙ্গে বলেন, রাজ্যকে পরিকল্পনা মাফিক চাষিদের থেকে ধান কিনতে হবে এবং অতিরিক্ত চাল বাইরের রাজ্যে সরবরাহের জন্য ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (FCI)-কে দেওয়া উচিত।