বাড়িতে কত নগদ রাখা যায়? নিয়ম না জানলে ৮৪% জরিমানা! আয়কর বিভাগের নতুন কড়াকড়ি

ডিজিটাল লেনদেনের যুগেও অনেক মানুষ বড় আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে নগদ অর্থকে গুরুত্ব দেন। তবে আয়কর বিভাগের কড়াকড়ি এবং নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বাড়িতে নগদ অর্থ রাখার ক্ষেত্রে এখন অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি টাকা বাড়িতে রাখলে বিপুল পরিমাণ আর্থিক জরিমানা হতে পারে।
৮৪ শতাংশ জরিমানা বা কর যদি আয়কর বিভাগ (Income Tax Department) কোনো কারণে আপনার বাড়িতে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ খুঁজে পায় এবং আপনি সেই অর্থের বৈধ উৎস বা প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হন, তবে সেই অর্থের ওপর আপনাকে ৮৪ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা বা কর দিতে হতে পারে। অর্থাৎ, প্রায় পুরোটাই চলে যাবে সরকারি খাতে।

১০ লক্ষ টাকা ধরা পড়লে কী হবে? যদি আপনার বাড়িতে অপ্রত্যাশিতভাবে ১০ লক্ষ টাকা পাওয়া যায় এবং আপনি এর উৎসের সঠিক নথি না দিতে পারেন, সেক্ষেত্রে আপনার ওপর ৮ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা কর ধার্য হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে আপনার হাতে অবশিষ্ট থাকবে মাত্র ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা।

আয়কর বিভাগ কীভাবে জানতে পারে? অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে যে, আয়কর বিভাগ কীভাবে জানবে আপনার কাছে বিপুল পরিমাণ অর্থ রয়েছে? এর উত্তর হল, ব্যাঙ্কিং সিস্টেম এবং অনলাইন লেনদেনের প্রতিটি খুঁটিনাটি তথ্য দ্রুত আয়কর বিভাগের কাছে পৌঁছে যায়। প্রতিনিয়ত বড় আর্থিক লেনদেনের ওপর কঠোর নজর রাখে আয়কর দফতর।

বিশেষত, যদি আপনি আপনার জমা পুঁজি থেকে এক বছরে ২০ লক্ষ টাকার বেশি নগদ তোলেন, তবে টিডিএস (TDS) কাটা হয়। টিডিএস কাটা হলে সাধারণত আপনার কাছে আয়কর বিভাগ আসে না। কিন্তু যদি আপনি টিডিএস না দেন বা বড় অঙ্কের লেনদেনের তথ্য গোপন করার চেষ্টা করেন, তবে আয়কর বিভাগ সতর্ক হয় এবং আপনার কাছে পৌঁছতে পারে।

নগদে ঋণ নেওয়া বা লেনদেন নয় আয়কর বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে, আপনি যদি অন্য কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে নগদে ঋণ বা ‘ক্যাশ লোন’ নেন, তবে সেই টাকার সমপরিমাণের ওপর ১০০ শতাংশ পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। এই কারণে, আয়কর বিশেষজ্ঞদের মতে, বড় অঙ্কের নগদ অর্থ ঋণ হিসেবে নেওয়া বা লেনদেন না করাই শ্রেয়। সমস্ত বড় অঙ্কের লেনদেন ব্যাঙ্কিং পদ্ধতির মাধ্যমে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।