জম্মু-কাশ্মীরে আচমকা তুষার-তাণ্ডব! দেশের সঙ্গে সংযোগকারী প্রধান সড়ক বন্ধ, কবে খুলবে রাস্তা?

মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের উঁচু এলাকাগুলিতে ভারী বৃষ্টি ও তুষারপাতের কারণে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে এসেছে। ভূমিধস এবং পাথর পড়ার ফলে জম্মু-শ্রীনগর এবং শ্রীনগর-লেহ জাতীয় সড়ক-সহ মুঘল রোডে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে কাশ্মীর উপত্যকার সঙ্গে দেশের বাকি অংশের যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন।

প্রধান সড়ক বন্ধ, চলছে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ
কাশ্মীরকে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করা প্রধান সংযোগকারী সড়ক জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কটি ভূমিধস এবং পাথর পড়ার কারণে বন্ধ হয়ে যায়। যুদ্ধকালীন তত্পরতায় রাস্তা পরিষ্কার করার জন্য মেশিন ও দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। কর্মকর্তারা আশা করছেন, দুপুরের মধ্যে রাস্তা আংশিকভাবে খুলে দেওয়া সম্ভব হবে। আপাতত সমস্ত যানবাহনকে জম্মুর নাগরোটাতে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও, ৪৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ শ্রীনগর-লেহ জাতীয় সড়ক, মুঘল রোড এবং সিন্থান টপ রোডেও নতুন করে বরফ জমার কারণে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

কত বরফ জমল?
অত্যন্ত ঠাণ্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গিরিপথে তুষারপাতের পরিমাণ রেকর্ড করা হয়েছে:

জোজিলার গিরিপথে রেকর্ড করা হয়েছে ছয় ইঞ্চি তুষারপাত।

মুঘল রোডের পীর কি গলি এবং কিশতওয়ারের সিন্থান টপে তিন থেকে চার ইঞ্চি বরফ জমেছে।

ডোডা, রামবান, কিশতওয়ার, কাঠুয়া, রাজৌরি এবং পুঞ্চ জেলার উঁচু অংশেও তুষারপাত হয়েছে।

উধমপুর থেকে বানিহালের মধ্যে একাধিক স্থানে ভূমিধস ও পাথর পড়ার কারণে মঙ্গলবার সকালে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।

বৈষ্ণো দেবীর যাত্রা তৃতীয় দিনেও স্থগিত
খারাপ আবহাওয়ার কারণে মাতা বৈষ্ণো দেবী এবং মাচাইল মাতার যাত্রা তৃতীয় দিনের মতো স্থগিত ছিল। তবে, আবহাওয়া দপ্তর সুখবর দিয়েছে— বুধবার থেকে আবহাওয়া পরিষ্কার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বৃষ্টি বা তুষারপাতের আর কোনো সম্ভাবনা নেই। আশা করা হচ্ছে, বুধবার থেকে এই যাত্রা পুনরায় শুরু হবে।