“মদ খাইনি, কোনও অনুশোচনা নেই”-বিচারপতিকে জুতো ছোড়ার প্রতিক্রিয়ায় জানালেন সিনিয়র আইনজীবী

সুপ্রিম কোর্টে এক অভূতপূর্ব বিশৃঙ্খলার জন্ম দিয়ে দেশের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইকে লক্ষ্য করে জুতা ছোঁড়ার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সিনিয়র অ্যাডভোকেট রাকেশ কিশোর এই ঘটনার পর মুখ খুলেছেন। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, নিজের কাজে তাঁর বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই।

সোমবার ইন্ডিয়া টুডে টিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাকেশ কিশোর বলেন, “আমি যা করেছি, তাতে আমার কোনও অনুতাপ নেই। আমি মদ্যপ ছিলাম না। এটি ছিল প্রধান বিচারপতির কাজকর্মের প্রতিক্রিয়া।”

ঘটনাটি ঘটে গত ১৬ সেপ্টেম্বর, যখন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে সনাতন ধর্ম সম্পর্কিত একটি জনস্বার্থ মামলার (PIL) শুনানি চলছিল। রাকেশ কিশোরের অভিযোগ, প্রধান বিচারপতি গাভাই নাকি মামলাকারীকে উপহাস করে বলেছিলেন, “যাও, মূর্তির কাছে প্রার্থনা করো এবং বলো যেন তার মাথা নিজের করে নেয়।”

আইনজীবী দাবি করেন, প্রধান বিচারপতির এই মন্তব্যে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে চরম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হন। তিনি বলেন, “যখন নূপুর শর্মার বিষয়টি আদালতে আসে, তখন বলা হয় সে পরিবেশকে কলুষিত করেছে। কিন্তু সনাতন ধর্মের সঙ্গে যুক্ত মামলা এলেই আদালত এমন মন্তব্য করে। আবেদনকারীকে সাহায্য করবেন না, তা মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু তাঁকে উপহাস করা ঠিক নয়।”

‘আমি ভীত নই, বিচারের পক্ষপাতিত্বের প্রতিবাদ’

রাকেশ কিশোরের দাবি, এই আচরণেই তিনি গভীরভাবে আহত হন এবং আবেগপ্রবণ হয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখান। তিনি জানান, তিনি আদালতের প্রতি অসম্মান দেখানোর উদ্দেশ্যে কাজটি করেননি, বরং বিচার ব্যবস্থার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের প্রতিবাদ করেছিলেন।

তাঁর কথায়, “আমি ভীত নই। যা ঘটেছে, তা আমার অনুভূতির প্রকাশ। আদালত যদি সত্যিই ন্যায়বিচারের প্রতীক হয়, তবে তাকে সব ধর্মের প্রতি সমান আচরণ করতে হবে।”