‘ওর প্যান্ট খুলে ফেলো!’ ছোটবেলার ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন মহেশ ভাট, কেন তাঁর গোপনাঙ্গ দেখতে চেয়েছিল কিছু ছেলে?

বলিউডের বর্ষীয়ান পরিচালক মহেশ ভাট বরাবরই স্পষ্টবক্তা হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি মেয়ে পূজা ভাটের পডকাস্টে এসে তিনি তাঁর জীবনের এক অন্ধকার ও বেদনাদায়ক অধ্যায়ের কথা ভাগ করে নেন, যা শুনে নড়েচড়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ। মহেশ জানান, ছোটবেলায় কীভাবে কিছু বেশি বয়সের ছেলে তাঁকে ধমক দিয়েছিল এবং তাঁর প্যান্ট খুলে গোপনাঙ্গ দেখার চেষ্টা করেছিল।

মহেশ ভাট বর্ণনা করেন, কীভাবে একদিন চারজন বয়সে বড় ছেলে তাঁর পথ আটকে দাঁড়ায়। তিনি জানান:

“হঠাৎ চারজন বয়সে বড় ছেলে আমার পথ আটকে দাঁড়ায়। তাঁরা আমাকে জোরে ধরে দেয়ালে ধাক্কা দেয়। আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি, এবং আমার হৃদয়ের গভীর থেকে ঈশ্বরদের কাছে আমাকে উদ্ধার করার জন্য আর্তনাদ ভেসে ওঠে। কিন্তু ঈশ্বর তো বরাবরের মতোই উদাসীন ছিলেন; তিনি চুপ ছিলেন।”

এরপর সেই ছেলেগুলি তাঁকে শারীরিক হেনস্থা করতে শুরু করে এবং তাঁর মাকে গালিগালাজ করে।

মহেশ ভাট বলেন, এরপর সেই ছেলেগুলোর একজন চিৎকার করে বলে ‘ওর প্যান্ট খুলে ফেলো’। যখন মহেশ এর কারণ জানতে চান, তখন তাদের মধ্যে একজন যে উত্তর দেয়, তা ছিল আরও ভয়াবহ:

“আমি দেখতে চাই তুমি আমাদের একজন কি না! তোমার মা তো তোমার বাবার উপপত্নী। একজন মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করেছে। সস্তা সিনেমায় নাচত। তাহলে তোমার নাম মহেশ কেন?”

এই কথা শুনে মহেশ ভয়ে কাঁদতে শুরু করেন। এরপর তিনি যখন ছেলেদের ভয় দেখান যে, তিনি তাঁর বাবাকে সব বলে দেবেন, তখন সেই ছেলেরা পাল্টা প্রশ্ন করে, ‘বলো উনি এখন কোথায়? উনি নিজের পরিবার ও আমার আরেক মায়ের সঙ্গে আন্ধেরিতে থাকেন।’

শেষ পর্যন্ত দাড়িওয়ালা একজন ছেলে তাঁকে ছেড়ে দেয় এবং ইশারায় চলে যেতে বলে।

মহেশ ভাট ব্যাখ্যা করেন, তিনি সেদিন চলে গিয়েছিলেন, কিন্তু এই ঘটনা তাঁর মনের গভীরে এক গভীর মানসিক ক্ষত তৈরি করে। তিনি আরও জানান, এই ঘটনার পরে তাঁর মা শিরিন আলী মোহাম্মদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সম্পূর্ণরূপে বদলে যায়। তাঁর মা তাঁকে নিজের জীবন থেকে সম্পূর্ণরূপে সরিয়ে দেন।