বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ভবিষ্যত্‍ কী? ভারত থেকে দেওয়া হলো তাত্‍পর্যপূর্ণ বার্তা

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রি নয়াদিল্লির অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, ভারত বাংলাদেশে একটি মুক্ত, স্বচ্ছ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পক্ষে। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচনের মাধ্যমে যেই সরকারকেই বেছে নেবে, ভারত তার সঙ্গেই কাজ করবে।

সোমবার ঢাকার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় বিক্রম মিশ্রি বলেন, “আমি খুব স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে ভারত দৃঢ়ভাবে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পক্ষে।” তিনি আরও জানান, ভারত সবসময় বাংলাদেশে শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চায় এবং দেশটির অগ্রগতি নিশ্চিত করতে চায়।

অন্তর্বর্তীকালীন মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নেই, এমন জল্পনার মধ্যেই বিদেশসচিবের এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিক্রম মিশ্রি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, “বাংলাদেশের মানুষের নির্বাচিত যে কোনও সরকারের সঙ্গে কাজ করবে ভারত।” এর মাধ্যমে নয়াদিল্লি এটা পরিষ্কার করে দিল যে, দুই দেশের মধ্যে তৈরি হওয়া দূরত্ব ঘুচিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই এখন প্রধান লক্ষ্য।

জানা গিয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন করাতে চাইছে। এই সময়সীমার প্রসঙ্গে মিশ্রি বলেন, “বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ এই নির্বাচনের জন্য একটি সময়সীমা ঠিক করেছে। আমরা এই নির্বাচনগুলি হওয়ার অপেক্ষায় থাকব।”

বিশেষ করে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে, তা কার্যত স্বীকার করে আলোচনার পথ খোলা রেখেছে ভারত। সেই আবহে বিদেশসচিবের এই ইতিবাচক বার্তা দুই প্রতিবেশী দেশের মৈত্রীর ক্ষেত্রে নতুন ইঙ্গিত দিচ্ছে।