রাজ কুন্দ্রার পর এবার শিল্পা শেট্টি! আর্থিক তছরূপের মামলায় অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদে মুম্বই পুলিশের EOW, জমা দিলেন জরুরি নথি

৬০ কোটি টাকা জালিয়াতির একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলায় অবশেষে অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টির বিবৃতি রেকর্ড করল মুম্বই পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা (EOW)। মুম্বই পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য EOW-এর একটি দল শিল্পার বাসভবনে গিয়েছিল এবং সেখানে অভিনেত্রীকে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
EOW অফিসাররা জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় শিল্পা তাঁর বিজ্ঞাপন কোম্পানির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত লেনদেনের বিষয়ে পুলিশকে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তদন্তের স্বার্থে অভিনেত্রী পুলিশের কাছে বেশ কিছু নথিও হস্তান্তর করেছেন, যা বর্তমানে যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে এই একই মামলায় শিল্পার স্বামী রাজ কুন্দ্রার বক্তব্য রেকর্ড করেছিল মুম্বই পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা। সেই সময় রাজ কুন্দ্রাকে তলব করা হয়েছিল এবং পুলিশ জানিয়েছিল, তাঁকে আরও এক দফা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগামী সপ্তাহে ডাকা হবে।
ব্যবসায়ী দীপক কোঠারি অভিযোগ করেছেন যে, শিল্পা এবং রাজ কুন্দ্রা তাঁর সঙ্গে ৬০ কোটি টাকারও বেশি প্রতারণা করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। দীপক কোঠারি দাবি করেছেন, ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ব্যবসা সম্প্রসারণের নামে দেওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ আসলে ব্যক্তিগত খরচে নষ্ট করা হয়েছে।
রাজ কুন্দ্রা অবশ্য জিজ্ঞাসাবাদের সময় দাবি করেছিলেন যে, ৬০ কোটি টাকার জালিয়াতির কিছু অংশ অভিনেত্রী বিপাশা বসু এবং নেহা ধুপিয়াকে পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। তবে জানা গেছে, পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নীরব ছিলেন, যার ফলে EOW আরও জিজ্ঞাসাবাদের পরিকল্পনা করতে বাধ্য হয়।
আইনজীবীর পাল্টা দাবি: ‘১৫ কোটি টাকার খবর ভুয়ো’
এদিকে, এই ঘটনার দিন কয়েক আগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে একটি খবর প্রকাশিত হয় যে, শিল্পা শেট্টি প্রায় ১০ বছর আগে তাঁর স্বামী রাজ কুন্দ্রার থেকে ১৫ কোটি টাকা নিয়েছিলেন এবং তার তদন্ত করছে EOW। এই বিষয়ে শিল্পা শেট্টির আইনজীবী প্রশান্ত পাতিল স্পষ্ট ভাষায় দাবি করেন, এই তথ্য সম্পূর্ণভাবে ভুয়ো, বিভ্রান্তিকর এবং বদনাম করার উদ্দেশ্যে ছড়ানো হয়েছে। আইনজীবী বলেন, “আমার মক্কেল শিল্পা শেঠি কুন্দ্রা এমন কোনও টাকা কখনও পাননি। এই খবরগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে ছড়ানো হচ্ছে, যাতে তাঁর ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা যায়।”