পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা ISI-এর সাথে কংগ্রেস সাংসদের স্ত্রীর যোগ! হিমন্ত বিশ্ব শর্মার হাতে ‘ধ্বংসাত্মক রিপোর্ট’,

অসমের রাজনীতিতে এখন চরম উত্তেজনা! কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈয় (Gaurav Gogoi) এবং তাঁর পরিবারের পাকিস্তানের সঙ্গে অভিযুক্ত সংযোগ নিয়ে গঠিত বিশেষ তদন্ত দলের (SIT) রিপোর্ট সামনে আসতেই ঝড় উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma) সোমবার রাজ্য ক্যাবিনেটের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে এই রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করেন এবং এটিকে ‘অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং ধ্বংসাত্মক’ বলে অভিহিত করেছেন।
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপির এই রিপোর্টকে বড় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন হিমন্ত। তিনি দাবি করেছেন, দেশের সামনে গৌরব গগৈয়ের ‘মুখোশ খুলবেন’।
SIT রিপোর্টে কী রয়েছে?
২০২৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি গঠিত এই SIT-এর উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানি নাগরিক আলি তৌকির শেখ এবং তাঁর সহযোগীদের ভারতবিরোধী কার্যকলাপের তদন্ত করা। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা রিপোর্ট প্রসঙ্গে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন:
১. ISI-এর সঙ্গে সংযোগ: রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে যে, গৌরব গগৈয়ের ব্রিটিশ নাগরিক স্ত্রী এলিজাবেথ কলবর্ন গগৈয়ের পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই (ISI)-এর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। এলিজাবেথ পাকিস্তানে জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্পে কাজ করতেন।
২. পাকিস্তানের সুবিধা: রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক পাকিস্তান থেকে অসমের একজন সাংসদের সফর সহজতর করেছিল।
৩. ব্রিটিশ পাসপোর্ট: হিমন্তের অভিযোগ, গৌরবের পরিবারের কমপক্ষে তিন সদস্যের ব্রিটিশ পাসপোর্ট রয়েছে, যা একজন ভারতীয় সাংসদের জন্য লজ্জাজনক।
‘ভারতের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র’
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই রিপোর্টকে ‘ভারতের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের’ ইঙ্গিত বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি জানান, সম্পূর্ণ রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে না, তবে এর সারাংশ এবং সংযুক্ত নথিপত্রগুলো জনসমক্ষে আনা হবে।
বিজেপি নেতারা এই ইস্যুকে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বড় অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন। অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতৃত্ব এই রিপোর্টকে হিমন্তের ‘ফ্লপ শো’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে এবং দাবি করেছে যে, অসমের মানুষ এই গল্প বিশ্বাস করবে না।