উত্তরবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি! দুর্গত এলাকায় বিজেপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, তৃণমূলকে নিশানা করলেন সৌমিত্র খাঁ ও রাহুল সিনহা

উত্তরবঙ্গের বন্যা বিধ্বস্ত নাগরাকাটায় পরিদর্শনে গিয়ে স্থানীয়দের চরম রোষের শিকার হলেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এবং শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। এই হামলার জেরে সাংসদ খগেন মুর্মুর মাথা ফেটে রক্তপাত হয়েছে। তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেও তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

এই নজিরবিহীন হামলার ঘটনায় তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

“রাজ্যে জঙ্গলের রাজত্ব”: সৌমিত্র খাঁয়ের তীব্র আক্রমণ
এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিজেপির নেতা সৌমিত্র খাঁ। তিনি শাসকদলের বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, দুর্গত এলাকায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে যাওয়া জনপ্রতিনিধিদের উপর এভাবে হামলা চালানোয় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে।

অন্যদিকে, বিজেপি নেতা রাহুল সিনহাও রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, দুর্যোগের মধ্যে জনগণের সেবায় যাওয়া জনপ্রতিনিধিরাই যদি আক্রান্ত হন, তবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?

অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন শঙ্কর ঘোষ
বন্যা বিধ্বস্ত নাগরাকাটার বামনডাঙা এলাকায় ত্রাণ ও পরিদর্শনে যান বিজেপি সাংসদ ও বিধায়ক। সেখানে ক্ষুব্ধ জনতা তাঁদের ঘিরে ধরে এবং জুতো, লাঠি ও ইট নিয়ে আক্রমণ করে। ইটের আঘাতেই সাংসদ খগেন মুর্মু রক্তাক্ত হন এবং তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিজেপি শিবিরের অভিযোগ, এই হামলার নেপথ্যে রাজনৈতিক উস্কানি রয়েছে। অন্যদিকে, তৃণমূল এই ঘটনাকে বিজেপির বিরুদ্ধে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে দাবি করেছে।

Editor001
  • Editor001