গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে উত্তাল করাচি! হামাসকে স্বীকৃতি ও দফতর খোলার দাবিতে শাহবাজ শরিফের উপর চরম চাপ পাকিস্তানের জনতার

গাজায় ইজরায়েলের হামলার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠল পাকিস্তান। ইজরায়েলের সঙ্গে অবিলম্বে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিতে সে দেশের সরকার, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের উপর চাপ দিচ্ছে সাধারণ জনতা। পাকিস্তান সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, করাচির মানুষ অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে একজোট হয়ে প্যালেস্তাইনের নিরীহ সাধারণ মানুষের উপর আক্রমণ বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছেন।
হামাসকে স্বীকৃতি ও দফতরের দাবি
রবিবার এই প্রতিবাদ জানাতে করাচির শারিয়া ফাইসালে এক বিশাল মিছিলের আয়োজন করে জামাত-ই-ইসলাম (JI) নামক সংগঠন। প্যালেস্তাইনের পতাকা ধরে এই মিছিলে মোটরসাইকেল, গাড়ি ও বাসে চড়ে হাজার হাজার মানুষ যোগ দেন।
জনসমাবেশে জামাত-ই-ইসলামের প্রধান হাফিজ নাঈমুর রহমান পাকিস্তান সরকারকে সরাসরি কড়া হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন:
“এক দেশ, প্যালেস্তাইন! এবং গাজার একমাত্র সংগঠন হল হামাস। গাজাবাসীর নেতৃত্বকারী সংগঠন হিসেবে হামাসকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হোক।”
ইসলামাবাদকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “ভুলেও ইজরায়েলের পক্ষ নিলে অথবা আব্রাহাম অ্যাকর্ডে যুক্ত হলে তার ফল ভালো হবে না।”
হাফিজ নাঈমুর রহমান পাকিস্তানেও হামাসের দফতর খোলার দাবি জানান।
“আমেরিকার দাসত্ব মানবো না!”
জামাত-ই-ইসলাম এই গণহত্যার জন্য আমেরিকাকে দায়ী করে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। করাচির জনতা তোপ দেগে বলে, “এখন মানবিকতার সুর চড়িয়ে কি হবে? আমেরিকার প্ররোচনাতেই গাজায় এইভাবে গণহত্যা চালানোর সাহস পেয়েছে ইজরায়েল।”
হাফিজ নাঈমুর রহমান বলেন, “করাচির কিয়ামারি থেকে চিত্রাল পর্বত, পাকিস্তানের মানুষ আমেরিকার দাসত্ব মেনে নেবে না।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “মুসলিম দেশগুলোর অপদার্থতার জন্যই দু-বছর ধরে প্যালেস্তাইনের মানুষের উপর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে ইজরায়েল। দ্বিচারিতা ছেড়ে এবার গাজা এবং হামাসের পাশে দাঁড়াতে হবে।” পাশাপাশি, প্যালেস্তাইনের সমস্যা সমাধানে রাষ্ট্রপুঞ্জও ব্যর্থ বলে দাবি করেন জামাত-ই-ইসলামের এই নেতা।