বিহারের রাজনীতিতে ‘যুব বিপ্লবের’ ডাক, নীতীশ কুমারকে সরিয়ে এবার নতুন মুখ চাই! বিস্ফোরক মন্তব্য শিবসেনা সাংসদের

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে যাওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক বিতর্ক তীব্র হতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে শিবসেনা (উদ্ধব বলসাহেব ঠাকরে) সাংসদ প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী বুধবার বিহারের রাজনীতিতে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তাঁর সরাসরি দাবি, “বিহারে এখন যুব নেতৃত্বের প্রয়োজন। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার যথেষ্ট দীর্ঘকাল রাজ্যের সেবা করেছেন, এবার নতুন প্রজন্মকে সুযোগ দেওয়ার সময় হয়েছে।”
মহারাষ্ট্র থেকে সাংসদ প্রিয়ঙ্কার এই বক্তব্য বিশেষভাবে নীতীশ কুমারের দল জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর নেতৃবৃন্দের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে।
দীর্ঘ শাসনকাল নিয়ে প্রশ্ন
প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী স্বীকার করেন যে নীতীশ কুমার (যিনি ২০০৫ সাল থেকে ক্ষমতায়) বিহারের উন্নয়নে অবদান রেখেছেন, কিন্তু তাঁর মতে, “দীর্ঘকালীন শাসনের কারণে রাজ্যের যুবশক্তি দমিত হয়ে পড়েছে। বেকারত্ব, কর্মসংস্থানের অভাব এবং উন্নয়নের অভাবে যুবকরা হতাশ।” তিনি তেজস্বী যাদব এবং অন্যান্য নতুন মুখের উদাহরণ টেনে বলেন, “এখন সময় যুব নেতৃত্বের, যারা নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিহারকে এগিয়ে নেবে।”
রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া
প্রিয়ঙ্কার এই মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক তরজা।
বিজেপির পাল্টা: বিজেপি নেতা সুশীল কুমার মোদী এর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, “যুব নেতৃত্বের কথা বলার আগে প্রিয়ঙ্কা নিজের দলের অভ্যন্তরীণ কলহ দেখুন।”
আরজেডির সমর্থন: আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব প্রিয়ঙ্কার বক্তব্যের সমর্থনে বলেছেন, “যুবকরাই বিহারের ভবিষ্যৎ। নীতীশের যুগ শেষ হয়ে গেছে।”
জেডিইউ-এর জবাব: অন্যদিকে, জেডিইউ নেতা বিজয় চৌধুরী প্রিয়ঙ্কার মন্তব্যকে ‘বাইরের হস্তক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, “বিহারের জনগণ নীতীশের উন্নয়নমূলক কাজ ভুলবে না।”
২০২৫-এর নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নীতীশের ‘প্রগতি যাত্রা’ ক্যাম্পেইন চলছে, যেখানে তিনি নিজেকে এনডিএ-এর নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু শিবসেনা সাংসদের এই মন্তব্য নীতীশের সেই ক্যাম্পেইনকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানাল এবং বিহারের রাজনীতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলল।