“৫০০ পর্যটকের জন্য ভলভো বাস, ৫ লক্ষ টাকা, হোমগার্ডের চাকরি”- বড় ঘোষণা মমতার

উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবার কলকাতার বিমানবন্দর থেকে রওনা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুর ৩টের মধ্যে তাঁর শিলিগুড়ি পৌঁছানোর কথা। তার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি ঘোষণা করেন, আটকে পড়া ‘সমস্ত পর্যটক নিরাপদে’ আছেন এবং তাঁদের নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।

পর্যটকদের ফেরাতে বিশেষ উদ্যোগ: খরচ দেবে সরকার

পর্যটকদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নাগরাকাটা, মিরিক, জোড়বাংলো এবং কালিম্পং। সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া পর্যটকদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন:

  • উদ্ধার অভিযান: প্রায় ৫০০ জন পর্যটককে সোমবারই নীচে নামিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই কাজের জন্য ৪৫টি ভলভো বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
  • আশ্রয়: যাঁদের রাতে থাকার প্রয়োজন, তাঁদের মধ্যে ২৫০ জনকে শিলিগুড়িতে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
  • হোটেলে থাকার নির্দেশ: যে পর্যটকরা এখনও নীচে নামতে পারেননি, তাঁদের দ্রুত নীচে না নেমে হোটেলেই নিরাপদে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
  • ভাড়া দেবে সরকার: মুখ্যমন্ত্রী মানবিকতার খাতিরে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, হোটেল মালিকরা যেন পর্যটকদের থেকে কোনও ভাবেই অতিরিক্ত ভাড়া না চান। আটকে পড়া পর্যটকদের হোটেলেই থাকার সমস্ত খরচ সরকার বহন করবে। তিনি বলেন, “জলে টাকা পয়সা কাগজ পত্র নষ্ট হয়ে গিয়েছে তাদের। মানবিকতার খাতিরে আমরা তো দেখবই।”

তবে তিনি জানান, ডায়মন্ড হারবারের একজন পর্যটক (হিমাদ্রি পুরকাইত) এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

 

মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ও চাকরির ঘোষণা

 

পাহাড়ে ধস ও বন্যায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী বড়সড় সহায়তার ঘোষণা করেন:

  • আর্থিক সাহায্য: মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।
  • চাকরি: প্রতি পরিবারের একজনকে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন হাসিমারা হয়ে নাগরাকাটা যাবেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখবেন। মঙ্গলবার তিনি মিরিকে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। এদিকে, পরিস্থিতি তদারকির জন্য রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং ফিরহাদ হাকিম ইতিমধ্যেই ধূপগুড়িতে পৌঁছেছেন।