স্কুলের ভেতরেই নারকীয় কাণ্ড! ‘মুখ খুললেই সর্বনাশ’, ভয়ে চুপ ছিল ছাত্রী, উত্তরপ্রদেশের ঘটনায় তোলপাড় দেশ

স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছিল, দিনের পর দিন মুখে কুলুপ এঁটে ছিল সে। অবশেষে পরিবারের কাছে যে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানাল অষ্টম শ্রেণির সেই নাবালিকা, তাতে কার্যত স্তম্ভিত গোটা দেশ। স্কুলের মধ্যেই লাগাতার যৌন হেনস্থা ও ধর্ষণের শিকার সে। নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সেই স্কুলের ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করেছে।

উত্তরপ্রদেশ: নীরবতার সুযোগ নিয়ে চলত নির্যাতন
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সদর কোতোয়ালি থানা এলাকার একটি স্কুলে। রবিবার পুলিশ জানিয়েছে, ভয়ের চোটে এতদিন কাউকে কিছু জানায়নি নির্যাতিতা।

নাবালিকার বাবা গত সপ্তাহে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, স্কুলের ম্যানেজার দিনের পর দিন তাঁর নাবালিকা মেয়েকে যৌন হেনস্থা করার পর ধর্ষণও করেছেন। ধর্ষণের শিকার হয়ে মেয়েটি অবশেষে বাড়িতে জানালে সঙ্গে সঙ্গে থানায় ছুটে আসে পরিবার।

পুলিশ আধিকারিক সঞ্জয় রেড্ডি জানিয়েছেন, “স্কুলের মধ্যেই এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই স্কুলের ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। নাবালিকার মেডিক্যাল টেস্ট দ্রুত করা হবে।”

বিহার: নেশাদ্রব্য খাইয়ে গণধর্ষণ, ৬ অভিযুক্ত পলাতক
উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বিহারের খাগারিয়া জেলা থেকে উঠে এল আরও এক ভয়াবহ গণধর্ষণের ঘটনা। ১৪ বছর বয়সী এক নাবালিকাকে তার পরিচিত দাদা ও তার বন্ধুরা মিলে নেশাদ্রব্য মেশানো পানীয় খাইয়ে গণধর্ষণ করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন মূল অভিযুক্ত যুবক কথা বলার অজুহাতে নাবালিকাকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যায়। এরপর মোটরসাইকেলে করে নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে মূল অভিযুক্ত ও তার পাঁচ বন্ধু মিলে তাকে নেশাদ্রব্য মেশানো পানীয় খেতে দেয়। মাদক মেশানো পানীয় খেয়েই নাবালিকা অচৈতন্য হয়ে লুটিয়ে পড়ে।

অচৈতন্য অবস্থায় তাকে গণধর্ষণ করা হয়। সারারাত সেই অবস্থাতেই নির্জন এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। সকালে জ্ঞান ফেরার পর কোনোমতে বাড়িতে ছুটে এসে পরিবারের সদস্যদের কাছে ভয়ঙ্কর ঘটনাটি জানায় সে।

নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারের তরফে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ছয়জনের বিরুদ্ধেই ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় ও পকসো (POCSO) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে, এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে।